জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
সোমবার সকাল থেকে আলোচনায় থাকা সংবাদ পরকীয়ায় পালিয়ে গেছেন শিক্ষিকা শিরোনামে ব্যাপক আলোচনায় আসা খবরটি গুজব বলে দাবি করেছেন ঐ স্কুল শিক্ষিকা। শিক্ষিক আফরোজা বলেন, কাবিননামা বিশ্লেষণ করে দেখুন আমি বৈধভাবে ২১ নভেম্বর ২০২১ সালে বিয়ে করি বরগুনা জেলার মোঃ জাফরকে। পরবর্তীতে কাবিননামা বিশ্লেষণ করে আরো জানা যায়, তাদের বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন আবু হাসান ও রুবেল আহমদ। স্বভাবত অন্যান্য কাবিননামার মতোই বিয়েটি সমাপ্তি হয়েছে বলে দাবি করছেন শিক্ষিকা আফরোজার স্বামী মোঃ জাফর (কাবিননামা সংযুক্ত)।
শিক্ষিকা সেলিনা আফরোজার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি তালাকপ্রাপ্ত মহিলা হিসেবে ও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের আইন মেনেই মোঃ জাফরকে বিয়ে করি, কিন্তু কিছু ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার সহ আমার মানহানি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি তথ্য প্রযুক্তি আইনে গুজব ছড়ানোর দায়ে আইনি ব্যবস্থা নিব।
আফরোজার স্বামীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আফরোজার ডিভোর্স ও ২ সন্তান জেনেও আমি বাংলাদেশের আইন মোতাবেক বিয়ে করি। কিন্তু প্রমাণাদি ছাড়া কিছু লোক গুজব ছড়াচ্ছে, যা অত্যন্ত বিব্রতকর। তিনি সমাজের সচেতন মানুষদের সহযোগিতা চান।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল কহাইগড়ের বাসিন্দা শিক্ষিকা আফরোজার বসবাসরত ওয়ার্ডের মেম্বারের ফখরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষিকা আফরোজার সাবেক স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, পরবর্তীতে সে যদি আইন মেনে বিয়ে করে তাহলে এটি আইনগত বৈধ, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।