শাবি থেকে সংবাদদাতা :
‘মজুরির ১২০ টাকা ৫-১০ বছর জমিয়ে চা-শ্রমিকরা যদি ইট-সিমেন্টের ঘর তুলতে চায়, মালিকপক্ষ ইট-সিমেন্টের সেই গাড়ি বাগানে ঢুকতে দেয়না। মজুরির বাহিরেও প্রতিনিয়ত অবহেলা চলে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে। মালিকপক্ষ যেসব রাস্তা ব্যবহার করে, আমাদেরকে সেসব রাস্তা ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না৷ আমাদের স্যানিটেশন ও বাসস্থানের খুবই খারাপ পরিস্থিতি৷’
মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) চা-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘সাস্ট সাহিত্য সংসদ’ কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে এভাবেই চা বাগানের শ্রমিকদের প্রতি চলমান অবহেলার চিত্র তুলে ধরেন চা শ্রমিকের সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুখোড় মিলেনিয়াম আরেং।
সাস্ট সাহিত্য সংসদের কোষাধ্যক্ষ সুলতানা আক্তার লুবনার সঞ্চলায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অলোক দেবনাথ এবং চা শ্রমিকদের প্রতিনিধি জোতির্ময় কানু।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাগানের এই অবস্থা আমাদের জানিয়ে দেয় এ যেন একবিংশ শতাব্দীর এক দাসপ্রথা৷ এই শোষণের বিরুদ্ধে এক জনগোষ্ঠীর আওয়াজ তোলা মানে পুরো শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। চা শ্রমিকেরা ‘অআনুগত্য নীতি’র মাধ্যমে যেভাবে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, আমরা তাদের এই অদম্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার স্পৃহাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই, চা শ্রমিকদের এই আধুনিক দাসপ্রথা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। শুধুমাত্র ৩০০ টাকা মজুরি নয় চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান সংক্রান্ত সকল মানবাধিকার নিশ্চিত করা হোক।
এ সময় চা শ্রমিকদের প্রতিনিধি জোতির্ময় কানু বলেন, চা শ্রমিকদের এই ন্যায্য অধিকারের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষার্থীরা যে আমাদের সাথে আছে, এতে আমরা অভিভূত। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের সাথে থাকেন।