বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের জান মাল, আসবাবপত্র ও গবাদী পশুর বিশাল ক্ষতি হয়েছে। ভয়ংকর বন্যায় প্রায় সকল দ্বীনি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাসমূহেও বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা শুরু থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছি। আমরা সাধ্যমত দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে দাঁড়াতে এসেছি। এই বিপদে আপনাদের পাশে থাকতে পেরে অন্তরের অন্তস্তল থেকে রাব্বি কারিমের গভীর শুকরিয়া আদায় করছি। আমাদের জন্য দো’য়া করবেন, সমাজের বিপদে-আপদে আমরা যেন যথাসময়ে মানবতার ডাকে সাড়া দিতে পারি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন সেই তাওফিক আমাদেরকে দান করেন।
তিনি গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা ৪ দিন প্রলয়ঙ্করী বন্যায় সিলেট জেলার সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর এবং কানাইঘাট উপজেলার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩টি ক্বওমী মাদরাসা পরিদর্শন করেন এবং মাদরাসা প্রধানদের হাতে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
আমীরে জামায়াত ধারাবাহিকভাবে সিলেট সদর উপজেলার রাজারগাঁও মাদরাসা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি মাদরাসা, গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর মাদরাসা, জৈন্তাপুর উপজেলার কাশিমুল উলুম নয়াগ্রাম মাদরাসা, কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ মাদরাসা এবং একই উপজেলার ছরিপাড়া মহিউসসুন্নাহ সাতবাগ মাদরাসা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্মানিত প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ এবং সাধারণ ছাত্রদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন।
পরিদর্শনকালে আমীরে জামায়াতের সাথে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, সিলেট উত্তর জেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন খান, নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুল্লাহ বাহার, জেলা সেক্রেটারী ও জৈন্তাপুর উপজেলার একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন। এসময় জেলা ও স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি