সিলেটে কৃষকদলের বিক্ষোভ মিছিল ॥ হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না

20
ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত আব্দুর রহিম ও নুরে আলমকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করে সিলেট জেলা ও মহানগর কৃষকদল।

ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগ আর কত লাশ চায়? সরকার বাকশালী কায়দায় দেশ শোষণ করতে গিয়ে লাশের উপর ক্ষমতায় মসনদে দাঁড়িয়ে আছে। সরকার বিরোধী দলের গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। জনগণের দাবী আদায়ে কথা বললে রাস্তায় গুলি করে মারে। ভোলার ঘটনাই প্রথম নয়, ২০০৯ সাল থেকে তারা কত মায়রে বুক খালি করেছে তার হিসাব নেই। হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
রবিবার বিকেলে ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও ছাত্রদল নেতা নুরে আলমের হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা ও মহানগর কৃষকদল কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা কৃষক দলের আহবায়ক শহিদ আহমদ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমরা সরকারকে বার বার সতর্ক করেও কাজ হয়নি। তারা লাগামহীন লুটপাট করে দেশকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিতে ঠেলে দিয়েছে। জনগন শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদও করতে পারে না। প্রতিবাদ করলে তারা দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে মারছে। এবার আর সতর্ক নয়, প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। যেখানেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা হবে, সেখানেই দেশের জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আওয়ামী লীগের এবার আর রক্ষা নেই। নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলন শুরু হলে আওয়ামী লীগ পালাবার রাস্তাও খোঁজে পাবে না।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করতে গিয়ে শেখ মুজিবের বাকশালকেও হার মানিয়েছে। শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাটি নেই, দেশে রিজার্ভ নেই। লুটপাট করে দেশের সব টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। যে কারনে দেশ আজ গভীর সংকটে পড়েছে। মানুষ কথা বললে গুলি করে। কথা বলার স্বাধীনতা নাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই, ভোটাধিকার নাই, তেল নাই, গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই। চারি দিকে শুধু নাই আর নাই। একদিন দেখবেন শেখ হাসিনাও ক্ষমতার মসনদ থেকে নাই হয়ে গেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট হাসান আহমদ পাঠোয়ারী রিপন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি সুরমান আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কৃষক দল নেতা মাসুক উদ্দিন, আব্দুল জব্বার টুটু, গিয়াস আহমদ, আলমাছ চৌধুরী, শাহীন আহমদ, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তোরন, শাহীন আলম জয় প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি