স্টাফ রিপোর্টার :
বর্ষাকাল শেষ হয়ে এলেও এ বছর মেলেনি প্রত্যাশানুরূপ বৃষ্টির দেখা। গেল কিছুদিন ধরেই বিগত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করে আছে। তবে এ পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে সবশেষ ২ দিনের দু’এক পশলা বৃষ্টিতে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত সোমবারও দেশের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী ৩ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও রংপুরে ৮২, নেত্রকোনায় ৬৯, বদলগাছি ও সিলেটে ৪৬, তাড়াশ ৩৮ এবং রাজারহাটে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল নেত্রকোনায় সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মোংলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকায় আজ দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।