স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদ (২২) হত্যা মামলার আসামী আবুল হাসানের পর গ্রেফতারকৃত আরো ২ আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক সুমন ভূঁইয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের।
গতকাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়া মামলার ২ আসামী হচ্ছে, শাবিপ্রবি’র পেছনের টিলাগাঁওয়ের মো. গোলাব আহমদের পুত্র কামরুল আহমদ (২৯), একই গ্রামের মৃত তছির আলীর পুত্র মো. হাসান (১৯)। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় এ মামলার আসামী শাবির পেছনের টিলাগাঁওয়ের আনিছ আলীর পুত্র আবুল হোসেন (১৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজধারী আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও প্রদান করেছে।
এদিকে, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে হার্ট ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বুলবুল আহমদের। বুকে আঘাত করার পর ছুরিটি তার হার্ট ভেদ করে যায়। এ ছাড়া বুলবুলের পিঠে, ডান হাতের বাহুতেও আঘাত করা হয়। ছুরিকাঘাতের ১৫ মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বুলবুল আহমেদ। তার শরীরে ছুরি উপর্যুপরি ৩টি আঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন লাশের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. শামসুল ইসলাম।
তিনি জানান, বুলবুলের বুকের বা পাশের একটি আঘাত ছিল গুরুতর, হার্ট ফুটো হয়ে গিয়েছিলো। এ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আঘাতের ১৫ মিনিটের মধ্যেই বুলবুলের মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বুলবুলের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। বুধবার ময়না তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গাজিকালুর টিলার পাশে ছুরিকাঘাতে খুন হন শাবিপ্রবির লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বুলবুল আহমেদ। তখন টিলায় তার সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও ছিলেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।