জলজ সম্পদ ও মৎস্য নিয়ে গবেষণায় দেশসেরা সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়

6

জলজ সম্পদ ও মৎস্য নিয়ে বাংলাদেশের ৩৪টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং এ প্রথম হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় সেলিব্রেশন অব এচিভমেন্ট শীর্ষক অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ২৬ জুলাই মঙ্গলবার এই উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পার্থ প্রতীম বর্মনের সঞ্চালনায় এবং মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। সেলিব্রেশন অব এচিভমেন্ট অনুষ্ঠানের আহবায়ক মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, দপ্তর প্রধানবৃন্দ এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্পেন ভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশন রাঙ্কিং এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে একুয়াটিক সায়িন্স বিষয়ে দেশের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে প্রথম ও বিশ্বে ৩৫০ তম অবস্থানে রয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় ও পরিশ্রমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণাগুলোর সারাংশ নিয়ে বুক অব এবস্ট্রাক্ট নামে একটি গ্রন্থও এই অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। সিমাগো ইনস্টিটিউশন রাঙ্কিং (এসআইআর) ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের বার্ষিক আন্তর্জাতিক রাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে। এসআইআর একটি স্পেন ভিত্তিক গবেষণা সংগঠন। যারা প্রতিবছর সরকারি, স্বাস্থ্য, বিশ্ববিদ্যালয় এবং নন প্রফিট এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে, ৩টি ফ্যাক্টর এর উপর ভিত্তি করে সতেরোটি সূচক বিবেচনায় গবেষণার ফলাফল, আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশন, ন্যাচারাল ইমপ্যাক্ট এবং প্রকাশনার হারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে।
উল্লেখ্য ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ, শিক্ষায় ও গবেষণায় বহুদূর এগিয়েছে। অনুষদের ৪৪ জন শিক্ষক ও গবেষক রাতদিন পরিশ্রম করে আজকের এই অবস্থান তৈরি করেছেন। বিজ্ঞপ্তি