বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। দেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। যেখানে প্রায় সারা বছরই কম-বেশ পর্যটকের আনাগোনা থাকে। তবে বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকের সমাগম একটু বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখানে পর্যটকের ঢল নামে।
এই সময়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা একটু বেশি হয়। এতেব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। তবে এবারের ঈদুল আযহার ছুটিতে মৌলভীবাজারের বড়লেখার মাধবকুণ্ডে আশানুরূপ পর্যটক নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে তারা একটু হতাশ।
জানা যায়, ঈদের দিন রবিবার থেকে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মাধবকুণ্ডে সাড়ে ৩ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। যা অন্য বছরের তুলনায় খুবই কম। বন্যার কারণে পর্যটক সমাগম কম হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাধবকুণ্ডে পর্যটক খুবই কম। স্থানীয় পর্যটকের পাশপাশি আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার পর্যটকরা এখানে ঘুরতে এসেছেন। বেচাকেনা কম হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। তাই তাদের মুখেও হাসি নেই।
মাধবকুণ্ডে ঘুরতে আসা স্থানীয় শিক্ষক সাইদুর রহমান বাবর ও ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ বলেন, ঈদের ছুটিতে দূরেও কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি। তাই মাধবকুণ্ডে এসেছি। এখানে প্রায়ই আসা হয়। প্রকৃতির কাছাকাছি এলে মন ভালো হয়। বিশেষ করে এখানে পাহাড়ের উঁচুস্থান থেকে গড়িয়ে পড়া স্বচ্ছ জল মুগ্ধ করে। এজন্য বার বার ছুটে আসি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, কবির আহমদ বলেন, বছরে দুটি ঈদে পর্যটক একটু বেশি আসে। তবে এবারের ঈদুল আযহার ছুটিতে পর্যটক সমগাম কম হচ্ছে। বেচাকেনাও কম হচ্ছে।
বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগি রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সিলেটভিউ-কে বলেন, ঈদের দিন রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যে পর্যটক এসেছেন তা অন্য বছরের তুলনায় খুবই কম। বন্যার কারণে পর্যটক সমাগম কম হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যারা এখানে ঘুরতে আসছেন তাদের বেশিরভাগ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। এখনও কোনো সমস্যা হয়নি।