এবার ঈদে নগরীর কামারপাড়ায় শেষ মুহূর্তে বাজার জমে উঠবে

11

স্টাফ রিপোর্টার :
সারা বছর তেমন একটা কাজ না থাকলেও ঈদুল আযহা আসলে কর্মকারদের ব্যস্ততা একটু বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এবার তার ব্যতিক্রম সিলেট নগরীর কর্মকারদের মধ্যে। ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকী থাকলেও কামারদের মধ্যে তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি।
কামারপাড়ায় দা, ছুরি, বটি তৈরি অব্যাহত থাকলেও বন্যার কারণে কামারপাড়ায় এখনও ক্রেতার দেখা মিলছে না। এজন্য হতাশার মধ্যে পড়েছেন কর্মকাররা। তবে কামাররা আশা করছেন ঈদের শেষ মুহূর্তে বাজার জমে উঠবে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার কামার দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার অধিকাংশ দোকানের কর্মকাররা অলস সময় পার করছেন। কিছু কিছু দোকানে দেখা গেছে দা, ছুরি ও বটি তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন কর্মকাররা।
নগরীর কালিঘাট, তোপখানা, কাজিরবাজার, আম্বরখানা, মহাজনপট্টি কামারপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে দা, ছুরি, চাপাতি, বটি তৈরির কাজ কাজ করছেন কামাররা। তবে বিকি কিনি না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ কামাররা।
তোপখানা এলাকার বিমান কর্মকার বলেন, সারাবছর তেমন কাজ-কর্ম না থাকলেও কোরবানির ঈদ আসলেই জেগে উঠে কামারপাড়া। দা-ছুরির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাজ করতে হয় দিন-রাত। তবে এবার বাজারে ক্রেতার দেখা মিলছে না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর এমন সময়ে বেচা-কেনা বেশ ভাল হলেও এবার হতাশ বিক্রেতারা।
কাজিরবাজার এলাকার বেনু দাস জানান, সারা বছর মাংস কাটার দা, বটি, ছুরি, চাপাতি প্রভৃতি বিক্রি করে যে ব্যবসা হয় তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যবসা হয় কোরবানির ঈদে। কিন্তু এবার বন্যার কারণে বাজারে ক্রেতা কম। তাই ব্যবসাও মন্দা।
অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানান, ঈদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে অনেক জিনিসপত্র তৈরি করা হলেও বন্যার প্রভাব পড়েছে তাদের ব্যবসাও। পশুর বাজারে ক্রেতা না বাড়লে কামার পাড়ায় ক্রেতা বাড়বে না বলে মনে করছেন তারা। তবে শেষ মুহূর্তে বাজার কিছুটা জমে উঠবে বলে আশাবাদি সিলেটের কর্মকাররা।
নগরীর বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো ছুরি ধার দিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নতুন বড় ছুরির দাম পড়ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, আর চাপাতি পাওয়া যাচ্ছে ৭ থেকে ৮ শ’ টাকার মধ্যে। এছাড়া ছোট ছুরি ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। আর বটি আকারভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।