বন্যার পানিতে বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর সড়কে ভাঙন, যোগাযোগ বিছিন্ন

11

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরউজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যায় বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে সিলেটের সাথে বালাগঞ্জের যোগাযোগের প্রধান সড়কটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত। বন্যার পানি থাকায় এবং ভাঙনের কারণে সড়কপথে ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ দুই উপজেলার যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে বিগত এক সপ্তাহ থেকে। তাই দুর্ভোগে পরেছেন বালাগঞ্জবাসী। সড়ক পথে যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় বন্যাদুর্গতের ত্রাণ পরিবহনেও দেখা দিয়েছে ভোগান্তি।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর থেকে বালাগঞ্জ সড়ক পথে যেতে আধা ঘন্টা সময় লাগতো। এখন নৌপথে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা। অর্থও ব্যায় হচ্ছে কয়েকগুন বেশি। এমন অবস্থায় সরকারী এবং সামাজিক সংগঠনের বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কটিও তাৎক্ষণিক মেরামত সম্ভব নয় না থাকায় ভাঙন অংশে বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গছে, বন্যার পানি বৃদ্ধির পর কুশিয়ারা নদী সংলগ্ন উপজেলা পরিষদসহ বালাগঞ্জ বাজার এবং বালাগঞ্জ-তাজপুর প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। পানি কিছুটা কমলে এই রাস্থা দিয়ে ভারী ট্রাক-পিকআপে ত্রাণ এবং যানবাহন না চলায় মানুষ আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। পানির উপর দিয়ে গাড়ি আসা যাওয়া এবং বিগত দিনে সংস্কার না করায় সড়কের ওসমানীনগর অংশে একাধিক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে মড়ন ফঁদে পরিনত হয়েছে। শুক্রবার কয়েকটি ভাঙন স্থানে বালাগঞ্জের পরিবহন শ্রমিকদের উদ্যোগে বালুভর্তি বস্তা দেয়া হয়েছে।
সড়কের একাধিক যাত্রীরা বলেন, যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ট্রাক-পিকআপ। এক প্রকার মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিছু দূর যেতে না যেতেই যাত্রীদের নামতে হচ্ছে বাহন থেকে। এত প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এ অবস্থায় সড়কটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন চালকরাও।
এ বিষয়ে জানতে ওসমানীনগর উপজেলা প্রকৌশলী এস এম আল মামুনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাকিম শরিফ সাইদ বলেন, পানির পরিমাণ কমে গেলে সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।