দেশে বছরে চোখের ছানি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

1

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে প্রতিবছর নতুন করে এক লাখ ৩০ হাজার চোখের ছানি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চক্ষু চিকিৎসকরা।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
‘চোখের ছানি সচেতনতা মাস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্যাটারাক্ট অ্যান্ড রিফ্ল্যাকটিভ সার্জনস (বিএসসিআরএস)।
সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আগে ছানি অপারেশন করতে অনেকে ভয় পেতেন। কিন্তু এ ভয় এখন অনেকটা দূর হয়েছে। তবে চোখের রোগ নিয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষ জনবল খুবই কম। আমাদের এ সংকট দূর করতে হবে। বেশি বেশি চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। শুধু চক্ষু চিকিৎসক নয়, তাদের সার্জারিও বিষয়েও জ্ঞান থাকতে হবে। ২০৩২ সালের মধ্যে ৩ হাজার ২শ চক্ষু চিকিৎসকের প্রয়োজন পড়বে। এখন আছে ১৪শ জন। বিএসসিআরএসের বৈজ্ঞানিক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম বলেন, এখন দেশে ৫ লাখের বেশি ছানি রোগী রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে এক লাখ ৩০ হাজার রোগী যোগ হচ্ছে। এসব রোগীদের মধ্যে এক লাখ সেবা পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ ছানি সার্জনের অভাবে সব রোগীদের চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ছানি রোগীর ৮০ শতাংশই গ্রামে বসবাস করেন। মাত্র কয়েক মিনিটেই চোখের ছানি অপারেশন করা সম্ভব। এতে কোনো ধরনের ব্যথা নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এটির বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছে সরকার।
ছানি অন্ধত্ব প্রতিরোধে সারা বিশ্বে সচেতনতা বাড়াতে জুন মাসে পালিত হচ্ছে ছানি সচেতনতা মাস।
বিএসসিআরএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদের সভাপতিত্ব মূল প্রবন্ধ উপস্থাপস করেন বিএসসিআরএসের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছানি সার্জন বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ডা. আব্দুর রকিব তুষার, ডা. মো. শওকত কবির প্রমুখ।