সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা

11
গত ১৪ দিন থেকে পানিবন্দী অবস্থায় দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই সড়ক ও ধরাধরপুর এলাকা। ছবি মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
দেশের উত্তরাঞ্চলের উজানে ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এই তথ্য জানিয়েছে। তারা বলছে, এর ফলে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে তিস্তা অববাহিকায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।
পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য বলছে, উজানে ভারতীয় অংশে আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও সিকিমে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদী তিস্তা, (আপার) আত্রাই, ধরলা, দুধকুমার, (আপার) করতোয়া, টাঙ্গন, পুনর্ভবা ও কুলিখের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের অরুণাচলে ১৮৩, চেরাপুঞ্জিতে ৯৩ ও জলপাইগুড়িতে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দু-এক দিন অবনতি হয়ে তারপর উন্নতি হতে পারে। আর তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি বেশি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
অন্যদিকে দেশের হাওরপ্রধান জেলা নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে এসব জেলায়ও আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বন্যার পানি বাড়তে পারে। কারণ, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি ওই জেলাগুলোর মধ্য দিয়ে নামতে পারে। সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা, বাউলাই, সোমেশ্বরী ও তিতাসের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ও দেশের বাকি এলাকার অনেক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।