সিলেট শহরতলীর মইয়ারচরে যৌতুকের দাবিতে নববধূ নাজমিন আক্তারের খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- নাজমিন আক্তার খুনের ঘটনার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়া দু:খজনক। নাজমিনের খুনীরা গ্রেফতার না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো ঘটতেই থাকবে। এজন্য তারা পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। বক্তারা বলেন- জালালাবাদ থানা পুলিশ নাজমিনের খুনীদের গ্রেফতার না করলে এলাকাবাসী বৃহৎ আন্দোলনে যাবে। এজন্য তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করার আহবান জানান।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ ইসহাক। নিহত নাজমিনের বড় ভাই মো. মিজান উদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিলেট সরকারী কলেজের সাবেক জিএস ফারুক আহমদ, জালালাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, সাংবাদিক ও ক্রীড়া সংগঠক মো. ওলিউর রহমান, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাবেক সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মান, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আবু ফাহিম আজাদ সুমন, মহানগর শ্রমিকলীগের সহ সাধারন সম্পাদক ফয়সল আহমদ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সিলেট বিভাগীয় সভাপতি মো. রাকিব আল মাহমুদ, শাহজালাল বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখর উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক বাতির আলী, জালালাবাদ ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, ইউপি সদস্য মো. জৈন উদ্দিন, ইউপি সদস্য জামাল আহমদ শিপু, মহিলা ইউপি সদস্য সাহেদা খাতুন ও সাবেরা বেগম, নলেজহোম একাডেমির প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমান, সহকারী শিক্ষক নিহতের ছোটো বোন পারভিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক মাছুম আহমদ, রুমান আহমদ, লিজা বেগম ও নাসিমা বেগম, সানরাইজ আইডিয়াল একাডেমির প্রধান শিক্ষক সফির আহমদ, নিহতের মা শেফালী আক্তার, বাবা আব্দুস সাত্তার, ছোটো ভাই রায়হান আহমদ, মামা দুলাল আহমদ, খসরু মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সায়মন আহমদ, দীপক অধিকারী, সুজন পুরকায়স্থ, ইমরান খান রাজু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি