দুই বছর পর উন্মুক্ত পরিবেশে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালিত

20

করোনার প্রকোপ কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর উন্মুক্ত পরিবেশে সিলেট ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে মহাসমারোহে পালিত হলো শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহোৎসব। স্নানযাত্রার প্রথম প্রহরে ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের উপস্থিতিতে ইসকন মন্দির হয়ে উঠেছিল উৎসবের মহাক্ষেত্র।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টায় ইসকন সিলেটে স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল।
পরে হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দুধ, মধুসহ নানা উপাচার দিয়ে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার অভিষেক শুরু হয়।ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ স্নানযাত্রার নেতৃত্ব দেন।
ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘ দুইবছর পর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব ও আমেজের চিরাচরিত ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে বলে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব। এটি একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত উৎসব। এটি সকলের প্রাণের উৎসব। ধর্ম যার যার সেটি থাকবে; কিন্তু উৎসব ও আমেজ সকলের। স্নানযাত্রা মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে ধর্মের সম্প্রীতি, মানবিক বন্ধন সুদৃঢ় হোক সেই প্রত্যাশা করি।’
ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহোৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহামারির কারণে আমরা দুই বছর আমাদের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসবটি করতে পারিনি। ২ বছর পর আমরা আবার আমাদের হৃদয়ের উৎসবে উপস্থিত হয়েছি। আমরা মনে করি আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমরা জঙ্গিবাদ ও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইসকন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ভাগবত করুনা দাস ব্রহ্মচারী,ইসকন সিলেটর কো-অর্ডিনেটর দেবর্ষি শ্রীবাস দাস ব্রহ্মচারী, বলদেব কৃপা দাস, অচিন্ত নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
আগামী ১ জুলাই রথযাত্রা। সেদিন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মহারানী মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পাড়ি দেবেন রথে চড়ে। ওই দিন রথকে টেনে নিয়ে যাবেন ভক্তরা। রথযাত্রা শেষ হবে ৮ জুলাই। বিজ্ঞপ্তি