স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মালনীছড়া চা বাগানে ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামকে (৪২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হলে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- গোলাপগঞ্জ থানার গাগুয়া গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার পুত্র সোহেল আহমদ উরফে বাটার সোহেল (৪৫), নগরীর এয়ারপোর্ট থানার সাহেবেরবাজার এলাকার বদনছড়া গ্রামের মো. রফিক মিয়ার পুত্র মো. লিমন মিয়া (২০), একই থানার বন্ধন-এফ-১০ এর মৃত হেলাল আহমদের পুত্র সাহেল আহমদ নয়ন (৩৫) ও তার ভাই রিপন আহমদ সেলিম (৩৩)।
গত বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ ৪ আসামির মধ্যে মো. লিমন মিয়া হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামকে খুন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
পুলিশ জানায়, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার মালনীছড়া চা বাগানের এমডির বাংলোর পার্শ্ববর্তী পাকা রাস্তার পাশে ড্রেইন সংলগ্ন চা বাগানের ভিতর থেকে মনিরুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকার বিষয়টি জানতে পারে। খুন হওয়া মনিরুল ইসলাম এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আহমদ হাউজিংয়ের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। নগরীর খাসদবির এলাকায় তার একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। মনিরুল খুনের ঘটনায় পরদিন রাতে ৬ জুন তার স্ত্রী হেনা বেগম বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ করেননি। মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুনের রহস্য উদঘাটন ও খুনীদের খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করে পুলিশ। পরবর্তীতে খুনের ৫ দিনের মাথায় এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন আদালতে।
বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, ৪ জনের মধ্যে একজন স্বীকারোক্তি দেওয়ায় তাকে ছাড়া বাকি ৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা যাচ্ছে না। শুধু বলতে পারি- পূর্ব বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকা- ঘটেছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।