মহিলা সমাবেশে অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম ॥ নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন অসম্ভব

5
মালিনীছড়া চা বাগানে সিলেট জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম বলেছেন, নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার নারীবান্ধব নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চা বাগানের নারীরাও পিছিয়ে থাকবে না। তাদের স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু নিশ্চিত করা হবে।
তিনি শনিবার (২৮ মে) মালিনীছড়া চা বাগানে সিলেট জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তির (এপিএ)’ আওতায় এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সিলেট চা ভ্যালির কয়েকশ নারী অংশ নেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার, চা শ্রমিক ইউনিয়ন, সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা। স্বাগত বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) উজ্জ্বল শীল। এ সময় আরও বক্তব্য দেন, বাবলী সবর ও মালনীছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত জিতেন সবর।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে দেশের মানুষের সঙ্গে একত্রে কাধে-কাধ মিলিয়ে চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী লড়াই করেছে। মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ের উদ্দেশ্য ছিল একটি সমৃদ্ধ ও সমতার বাংলাদেশ। নারী ও চা জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। প্রতিটি কাজে নারী ও পুরুষের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন অন্যতম। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেশের নারীদের জন্য অনেকগুলো কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি।’
সমাবেশে চা শ্রমিক নারীদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নানা উদ্যোগ এবং বর্তমানে চা শ্রমিক নারীদের নানা সমস্যা ও দাবি তুলে ধরা হয়। চা শ্রমিক নারীরা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি ও তাদের শিশুদের জন্য বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান। প্রধান অতিথি তাদের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন বিগত ২০ বছরের ধারাবাহিকতায় অনেক দূর এগিয়েছে। আজ নারীরা তাদের অধিকারের কথা বলতে পারে। নিজেদের উন্নয়নের দাবি তুলতে পারে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদপদবিতে নারীর পদচারণা। তবুও, নারীরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন। কিন্তু,নারীদের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই।’ বিজ্ঞপ্তি