কাজিরবাজার ডেস্ক :
একচল্লিশ বছর আগের কথা। দিনটি ছিল রবিবার। কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ার বেগ ছিল ঘণ্টাই ৬৫ মাইল। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়াও গতিরোধ করতে পারেনি গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল। সারাদেশের গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর থেকে অধিকার বঞ্চিত মুক্তিপাগল জনতা ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়। সামরিক তন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী লাখো কণ্ঠের শ্লোগানে প্রকম্পিত পুরো রাজধানী। একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত জনসমুদ্র।
গণসমুদ্রের প্রবল জোয়ারে ভাসিয়ে আজ থেকে একচল্লিশ বছর আগে ১৯৮১ সালের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ এমনি একটি দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি। আজ সেই ১৭ মে, বঙ্গবন্ধুর কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪২ বছর পূর্তি দিবস।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেই সাংগঠনিক ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা সমাবেশে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা জনগণের কাছে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারও দাবি করেন।
পিতা-মাতা-ভাইসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৭ মে দেশে ফিরে এসে সমাবেশে আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমি বিচার চাই। দেশের বর্তমান দুর্বিষহ অবস্থার জন্য যারা দায়ী জনগণের কাছে তাদের বিচার চাই। খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে যে সরকার, তারা জনগণের কল্যাণ করতে পারে না।’ তিনি জনগণকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রূপায়ণের লক্ষ্যে সংগ্রাম সূচনার অঙ্গীকার করে বলেন, সেইদিন ১৯৭৫-এর হত্যার বিচার হবে, যেদিন বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী বাস্তবায়িত হবে, সেদিন শোষণমুক্ত সমাজ ও শোষণহীন গণতন্ত্র কায়েম হবে। তিনি সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আবার আমরা এক হই।
১৯৮১ সালের ১৭ মে সব হারিয়ে দেশে ফিরে দেশের মানুষকে যে কথা দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কথা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, রায়ও কার্যকর হয়েছে। টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে থেকে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে দেশকে সারাবিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর চরম এক প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যাওয়া আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তবে বিদেশে থাকাকালেই ১৯৮১ সালের ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে দলের নেতারা শেখ হাসিনাকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত করেন। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর নেতারা তাঁর হাতে তুলে দেন তৎকালীন বহুধাবিভক্ত দেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যের সাফল্যগাথা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা।
লাখো জনতার প্রাণঢাল উষ্ণ সম্ভাষণ এবং গোটা জাতির স্নেহাশীষ ও ভালবাসার ডালা মাথায় নিয়ে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যার আগমনে সেদিন গগনবিদারী মেঘ গর্জন, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বদলা নেয়ার লক্ষ্যে গর্জে উঠেছিল, আর অবিরাম মুষলধারে বারিবর্ষণে যেন ধুয়ে-মুছে যাচ্ছিল বাংলার পিতৃ হত্যার জমাট বাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন।
ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ মানুষের সংবর্ধনা ও হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা-ভালবাসার জবাবে পিতা-মাতা-ভাইসহ সব স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর বঙ্গবন্ধুর এই কন্যা আরও বলেছিলেন, ‘আমি সামান্য মেয়ে। সক্রিয় রাজনীতির দূরে থেকে আমি ঘর-সংসার করছিলাম। কিন্তু সবকিছু হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। বাংলার দুঃখী মানুষের সেবায় আমি আমার এ জীবন দান করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাঁদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালী জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’ শেখ হাসিনা সেদিন জনগণকে দেয়া সেই অঙ্গীকার পূরণে ৪১ বছর ধরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জনগণের ভাগ্যবদলে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
সামরিক তন্ত্রের বেড়াজাল থেকে দেশের জনগণকে গণতন্ত্র উপহার দিতে দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই ব্রাকেটবন্দী আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের একক বৃহত্তম ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দল। শুধু দেশের বৃহত্তম দলই নয়, এই ৪১ বছরের জনগণের আস্থা অর্জন করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট সংখ্যা বাড়িয়েছেন দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই প্রাসাদতম ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও জনগণকে সঙ্গে কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে সামরিকতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশবাসীকে পেয়েছিলেন কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র।
শুধু তাই নয়, শক্ত হাতে দলের হাল ও গণতন্ত্রের পতাকা উর্ধে তুলে রেখে দেশে ফেরার পর থেকেই গভীর ষড়যন্ত্র, বার বার প্রাণনাশের চেষ্টা, গ্রেফতার-নির্যাতনসহ শত সহগ্র বাধা অতিক্রম করে জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে দেশে ফেরার ১৫ বছরের মাথায় আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে সক্ষম হন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করে দেশকে নিয়ে যান উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে। এরপর আবারও ষড়যন্ত্র। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরের বিভীষিকাময় নির্যাতনে নেতাকর্মীরা যখন দিশেহারা, তাঁকেসহ পুরো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে মরণঘাতী গ্রেনেড হামলার মুখেও অবিচল থেকে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে বন্ধুর পথ পাড়ি দেন বঙ্গবন্ধুর এই কন্যা।
এরপর ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সামরিক নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, দীর্ঘদিন কারাবাসে থেকেও কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করেননি শেখ হাসিনা। ওই সময় ভয়-ভীতি ও ষড়যন্ত্রে অনেক নেতা পথভ্রষ্ট হওয়ার উপক্রম হলেও জেলে থেকেও সফল দিক-নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের অটুট বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হন তিনি। শেখ হাসিনার এই অবিচল ও সাহসী নেতৃত্ব আর জনগণের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের কারণেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশের জনগণ ইতিহাসের সর্ববৃহৎ তিন-চতুর্থাংশ আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনাকে।
স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসরদের অন্তহীন ষড়যন্ত্রে মোকাবেলা করে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল।
একচল্লিশ বছরের রাজনৈতিক পথ-পরিক্রমায় ঘোর প্রতিপক্ষরাও অপকটে স্বীকার করছেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প এখন শেখ হাসিনাই। এজন যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেই দেশকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে এরই মধ্যে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও স্বীকার করেছেন, সরকারের যা কিছু সাফল্য এর সবই অর্জিত হয়েছে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টা ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও অকপটে স্বীকার করে বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার অসম সাহস ও দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায় কার্যকর এবং জঙ্গীবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে। একমাত্র শেখ হাসিনা নেতৃত্ব রয়েছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। দেশ বেরিয়ে এসেছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে। সর্বশেষ ভয়াল করোনায় যখন গোটা বিশ্ব ল-ভ-, সেই দুঃসময়েও দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে প্রবৃদ্ধি পাঁচ ভাগের ওপর নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সবকিছু মিলিয়ে দৃঢ়ভাবেই বলা যায়, সরকার পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প আজ কেউ নেই।
দেশে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এই একচল্লিশ বছরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। ব্রাকেটবন্দী বহুধাবিভক্ত আওয়ামী লীগকে শুধু ঐক্যবদ্ধই নয়, শক্ত হাতে হাল ধরে আওয়ামী লীগকে বিপুল জনসমর্থিত দেশের সর্ববৃহৎ একক বৃহত্তম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। বিপুল সমর্থন নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে আত্মনির্ভরশীল, সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলসভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিয়াল্লিশ বছর পূর্তি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। তাঁর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তাঁর (শেখ হাসিনা) নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা। সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনায় দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করবে।