কাজিরবাজার ডেস্ক :
অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় ৩২ বাংলাদেশীসহ ৮১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জাহাজে করে লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। শনিবার তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী।
বাংলাদেশী ছাড়াও উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মিশরের ৩৮ জন, সুদানের ১০ জন এবং মরক্কোর একজন রয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। উদ্ধার ব্যক্তিরা লিবিয়ার আবু কামাশ গ্রাম থেকে যাত্রা করেন, যা তিউনিসিয়ার উত্তরপূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে লিবিয়ান কর্তৃপক্ষ ৫৪২ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। তারা জাহাজে করে ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২০২১ সালে ভূমধ্যসাগরে প্রায় ২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪০১।
হবিগঞ্জের চার যুবক জিম্মি : লিবিয়া থেকে দালালের মাধ্যমে নৌকায় ইতালি যাওয়ার পথে একদল বাংলাদেশীকে ভূমধ্যসাগরে জিম্মি করে রেখেছে একটি চক্র। জিম্মি বাংলাদেশীদের মধ্যে ৪ জন হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। রবিবার সকালে এদের পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। হবিগঞ্জের জিম্মিরা হলেন, জেলা শহরের বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া (২৮), আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের সাজানুর রহমান (৩৫), নাসির মিয়া (২১) ও আফজাল (২২)। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য চক্রটি তাদের মারপিট করছে বলে জিম্মি থাকা কয়েকজনের পরিবার জানিয়েছে।
সাজানুর রহমানের ভাই অছিউর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে লিবিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ জন বাংলাদেশীকে নিয়ে একটি নৌকা ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়। পরে একদল দুর্বৃত্ত তাদের সবাইকে জিম্মি করে রেখে মুক্তিপণের জন্য বাড়িতে খবর পাঠাচ্ছে। তাদেরকে মারধরও করছে। তিনদিন ধরে তারা জিম্মি অবস্থায় সাগরে ভাসছেন। তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা আমার ভাইকে আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলিয়েছে। তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাজানুর প্রায় দেড় বছর আগে লিবিয়া গিয়েছিলেন। দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার পথে ধরা পড়ে তিনি এশবার জেলও খেটেছেন। এ পর্যন্ত বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। জিম্মি আফজালের বাবা ফজলু মিয়া এবং উজ্জ্বলের শ্বশুর ফারুক মিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।