স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এসময় আত্মসমর্পণকারী ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল রবিবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ৪ জনকে কারগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল।
যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন- শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েল, শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক ও ছাত্রলীগকর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক। অন্যদিকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, মোস্তাক আহমদ মিয়াজী ও ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছাত্রলীগকর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ৬ বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে গত বছরের জানুয়ারিতে এ চার্জশিট আমলে নেন আদালত।