ঈদের আগে সিলেটে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশী পরিবার আজ পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার

9
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মুজিব বর্ষে ৩য় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুকূলে ঈদ উপহার হিসেবে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান।

স্টাফ রিপোর্টার :
তৃতীয় ধাপে ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পাচ্ছেন সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ৬৯ জন ও জেলায় ৮১৭টি পরিবার। আজ মঙ্গলবার এগুলো গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালিভাবে যুক্ত হয়ে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন।
সিলেটর জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানান, গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ৬৯ টি ঘর প্রদান করা হবে। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১৩ উপজেলায় ঘর পাবেন ৮১৭টি পরিবার। ইতোমধ্যে ঘরগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপহারের ঘর হস্তান্তর উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান। এতে তিনি আরও বলেন, সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসক জানান, এ ধাপে সিলেট জেলার বালাগঞ্জে ৪২, বিয়ানীবাজারে ১২০, বিশ্বনাথে ৩৩, কোম্পানীগঞ্জে ৩৩, ফেঞ্চুগঞ্জে ১২, গোলাপগঞ্জে ৫০, গোয়াইনঘাটে ২২৪, জৈন্তাপুরে ৮৭, কানাইঘাটে ৮৪, সিলেট সদরে ৬০, জকিগঞ্জে ৩৫, দক্ষিণ সুরমায় ২৭ ও ওসমানীনগরে ১০টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। এগুলো ঈদের আগে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করার ফলে তাদের ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে কাঠামোতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। প্রতিটি ঘরে প্রায় ৬৯ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। যার কারণে ঘরগুলো আগের চাইতে মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। কোন অভিযোগ থাকবে না। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের এরই মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর দেওয়া হয়েছে। দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেয়া হয়েছে তাদের। এর সঙ্গে রান্নাঘর ও টয়লেট ছিল। আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গা ছিল। এছাড়া আগে এক পরিবারের ঘর নির্মাণে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হতো। এখন ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।