স্টাফ রিপোর্টার :
রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে স্বেচ্ছাধীন তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, করোনার আগে অনেকে বলেছিলেন বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে। কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে ও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা কোভিডকে মোকাবিলা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে নিরাপদ রাখতে সমর্থ হয়েছি। বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, বাংলাদেশ যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে তাতেও বিশ্বে রোল মডেল।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এ বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থাকবে না। মধ্যম আয়ের দেশ হবে, উন্নত দেশ হবে। তিনি তার কথা রেখেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দারিদ্র্যকে জয় করেছি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে যত প্রকারে সহায়তা করা যায়, তার সবই করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল প্রকার অসহায় জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার একজন লোককেও গৃহহীন রাখবে না। সে আলোকেই গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। সরকার অসহায় মানুষের কল্যাণে সবসময়ই পাশে আছে। ড. মোমেন বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই পরিস্থিতি বেশ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল হতে মোট ১০০ জন অসহায় মানুষকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েলসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।