গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
এ বছর ১০ লাখ কর্মী বিদেশ যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে এক লাখ কর্মী বিদেশে গমন করছে। যার মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী সৌদি আরব যাচ্ছে।
বুধবার নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত দুই মাসে ১ লাখ ৭০ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে ঢাকায় সৌদি দূতাবাস। প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে দেশটি।
কর্মীদের প্রশিক্ষণের যে গতিতে আমরা ছিলাম, করোনা এসে সেটিতে বাধার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠাতে এখন আমরা দক্ষতার উপর জোর দিচ্ছি।
রামরুর সিআর আবরার বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলোকে গ্লোবালি কম্পেয়ার করে আরো শক্তিশালী করে তুলতে হবে। ট্যুরিজম ও হসপিটালিটির ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থার (আইওএম) -এর বাংলাদেশ ডেপুটি চিফ অফ মিশন ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী বলেন, বিশেষ করে রেমিট্যান্স প্রবাহটা যেমন আমরা দেখছি, একই ভাবে বাংলাদেশের অভিবাসন ক্ষেত্রটাও দেখতে হবে।
আইএলওর প্রতিনিধি লেটেশিয়া ওয়েবেল বলে, শ্রমিকদের নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। যাতে করে তারা তাদের পূর্ণ দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে।
এ সময় অন্যান্য স্টকহোল্ডাররা তাদের বক্তব্যে অভিবাসন খাতে আরো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা মালয়েশিয়া ও লিবিয়ার শ্রমবাজারে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের উপর জোর দেন।
এছাড়া রোমানিয়ার শ্রমবাজার নিয়েও তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
মত বিনিময় সভায় অংশ নেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান, ব্রাক মাইগ্রেশন প্রধান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা।