কাজিরবাজার ডেস্ক :
কালনী ও মেঘনা নদীর পানি প্রবেশ করে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় ৩টি হাওরের শতাধিক হেক্টর বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তে থাকলে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর বোরো ক্ষেত তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কৃষকরা আধাপাকা ধানই কাটা শুরু করেছেন।
উপজেলার এক নম্বর লাখাই ইউনিয়নে অবস্থিত মেঘনা ও কালনী নদী সরাসরি হাওরের সঙ্গে যুক্ত। ফসল রক্ষা বাঁধ না থাকায় গত দুইদিন ধরে নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করছে। এতে ইউনিয়নটির শিবপুর, সুজনপুর ও বারচর হাওরের শতাধিক হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাখাইয়ে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ২০০ হেক্টরে। এর মধ্যে শুধু লাখাই ইউনিয়নে হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টরে। কিছু জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান প্রায় ৬০ শতাংশ পেকেছে। তবে বেশিরভাগ জমির ধান অর্ধেকও পাকেনি। হাওরগুলোতে এখন ধানের শীষ ডুবুডুবু অবস্থায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, ৭০ হেক্টর বোরো জমি পুরোপুরিভাবে তলিয়ে গেছে। তারা তালিকা করছেন। আগামী দুই দিন এভাবে পানি বাড়লে কমপক্ষে আরও ৫০০ হেক্টর জমি তলিয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, হাওরের সঙ্গে নদী সরাসরি যুক্ত হওয়ায় পানি বেশি ঢুকছে। হাওরের কিছু ক্ষেতের ধান প্রায় ৬০ শতাংশ পেকেছে। অনেক স্থানে অর্ধেকও পাকেনি। এ অবস্থায় কৃষকরা প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির আধাপাকা ধান ঘরে তুলেছেন। বাকি ২ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে। তবে কিছু ধান কাঁচা থাকতেই কৃষকদের কাটার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অনেকে তা করছেনও।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শরীফ উদ্দিন বলেন, লাখাই ইউনিয়নের বোরো জমিগুলো তুলনামূলক নিচু। পরিদর্শনে দেখেছি ধানক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যায় যায় অবস্থায়। এ অবস্থায় দ্রুত ধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।