ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

14

কাজিরবাজার ডেস্ক :
“…. বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখ-তা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।”
“….. আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন। রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদেও অধিষ্ঠিত থাকবেন। রাষ্ট্রপ্রধানই সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন-প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী।….”।
আজ সেই ১৭ এপ্রিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য দিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ৫১ বছর পূর্তি হলো ঐতিহাসিক এই দিনটির। আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয়ভাবেও দিবসটি পালিত হবে।
আজ থেকে ৫১ বছর আগে একাত্তর সালের অগ্নিঝরা এই দিনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রী সভার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের শপথ গ্রহণ আর মুক্তির সনদ উপরোক্ত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে কবর রচিত হয় অখ- পাকিস্তানের। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
বাংলা, বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর যেন অভিন্ন নাম। স্বাধীনতা অর্জনের পথে ১৭ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিন। বাংলাদেশের স্বাধীন সরকারের শপথ নেয়ার দিন, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের দিন। এর আগে একই বছরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিনগরের বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে।
বাঙালি জাতি সুদীর্ঘ দুই শতাব্দীরও অধিককাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানের শাসনে শৃঙ্খলিত ছিল। ২৫০ বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেই স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে। বাঙালীর দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর তৎকালীন নদীয়ার আরেক অংশ মেহেরপুর মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাস। একাত্তরের অগ্নিঝরা এদিনেই বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভিত্তিমূল রচিত হয়।
মাত্র দেড় শ’ বছরের ব্যবধানে একাত্তরের এই দিনে বাঙালি জাতি নতুন করে আবার জেগে উঠে, মুছে দেয় পরাজয়ের গ্লানি। বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর বৈদ্যনাথতলায় রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাস। একাত্তরের অগ্নিঝরা এ দিনেই বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিমূল রচিত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে এদিন গঠিত হয় সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার। বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পায় স্বাধীনতা বাংলাদেশের নাম। পরবর্তীতে ঐতিহাসিক এ দিবসটি মুজিবনগর দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পায়। এ কারণে মুজিবনগর ও ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু নয়, বিশ্ব মানুষের মুক্তির ইতিহাসে আলাদা বিশেষত্ব রাখে। কারণ এখানে ঘোষিত হয়েছিল একটি জাতির মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, “….জনগণের ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের ক্ষমতায় গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য সেইহেতু আমরা বাংলাদেশকে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এ দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করিতেছি।”
বছর ঘুরে বাঙালির জীবনে ফের এসেছে ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বঙ্গবন্ধুকে প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ১৭ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র সারাবিশ্বেই ঐতিহাসিকভাবে সত্য নয়, পবিত্র সংবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও বিষয়টিকে স্বীকৃত দেয়া হয়েছে। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঘটনা সারাবিশ্বেই ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না।
কী ঘটেছিল সেদিন আম্রকাননে : একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে মুক্তিকামী বাঙালির সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে সর্বত্র। যার ধারাবাহিকতায় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। সেদিন ছিল শনিবার। সীমান্তবর্তী মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আমবাগানের চারদিকে রাইফেল হাতে কড়া প্রহরায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। হাজার হাজার মুক্তিকামী বাঙালির উপচেপড়া ভিড় চারদিকে। ঐতিহাসিক স্বাধীনতার মুুহূর্তটি ধারণ করতে দেশী-বিদেশী সাংবাদিকরাও প্রস্তুত। মুক্ত আকাশের নিচে চৌকি পেতে তৈরি করা হয়েছে শপথ মঞ্চ। মঞ্চের ওপর সাজানো ৬ খানা চেয়ার। অনুষ্ঠানের প্রবেশপথে বাংলায় লেখা ‘স্বাগতম’।
স্থানীয় সময় ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে আসে সেই মাহেদ্রক্ষণ। নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের নেতারা একে একে আসতে থাকেন। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে প্রকম্পিত চারদিক। প্রথম শপথ মঞ্চে উঠে এলেন বঙ্গবন্ধুর আজীবনের ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তার পেছনে তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেম এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, বিশ্বাসঘাতক খুনী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও জেনারেল এম এ জি ওসমানী।
যে কোন মুহূর্তে পাক হানাদার বাহিনীর বিমান হামলার আশঙ্কার মুখে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের স্থায়িত্ব হয় মাত্র ৪৫ মিনিট। অনুষ্ঠানের সূচনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং গীতা, বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। স্থানীয় শিল্পী এবং হাজারো মানুষের কণ্ঠে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম উত্তোলন করেন মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
এরপর আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের চীফ হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী ঐতিহাসিক দলিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এরপর নতুন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিবর্গ ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে শপথবাক্য পাঠ করান তিনি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এমএনএ। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ওই সময় মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শপথ গ্রহণের পর সশস্ত্র তেজোদীপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গকে রাষ্ট্রীয় কায়দায় ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। পাক শাসকগোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় তাকে রাষ্ট্রপতি করেই ঘোষণা করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সেদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসাবে শপথ নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সরকারের মন্ত্রী সভায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদকে সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে বাঙালি জাতির কাছে মীরজাফর ও বিশ্বাসঘাতক হিসাবে পরিচিত খন্দকার মোশতাক আহমেদকে আইন, বিচার ও পররাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী করা হয়।
এ ছাড়া জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চীফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। মুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রী পরিষদের কর্তৃত্বাধীনে থাকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধরত অঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। এছাড়া কে ফোর্স, জেড ফোর্স ও এস ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড গঠন করা হয়।
শপথ গ্রহণের পর পরই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জাতির উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা যা করছি সবই মুজিবের নির্দেশে। তবে তিনি কোথায় আছেন বলব না।’ এ অনুষ্ঠান থেকে নতুন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দু’জনই বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি দান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান।
একাত্তরের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের এ প্রকাশ্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল বাঙালীর স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট। কেননা পাকিস্তানের জল্লাদ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছিল বাঙালীর স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে ভারতের মাটিতে বসে। ইয়াহিয়ার এ প্রচারণা মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মাটিতে বসেই।
নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম স্থান পায়। এই মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে ও দক্ষ পরিচালনায় মুক্তিপাগল বাঙালি জাতি নয় মাস মরণপণ সশস্ত্র যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনেন মহামূল্যবান বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জত, অশ্রু এবং কোটি বীর বাঙালীর আত্মত্যাগে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্থান দখল করে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ঐতিহাসিক এই স্মৃতি-বিজড়িত দিনটিকে বরাবরের ন্যায় স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকলে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশের সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন।
মুজিবনগরের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সোয়া ১০টায় গার্ড অব অনার প্রদান এবং সকাল সাড়ে ১০টায় ‘শেখ হাসিনা মঞ্চে’ মুজিবনগর দিবসের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
জাতীয় কর্মসূচীর মধ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও মুজিবনগরে দিবসটি উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ভবনসমূহ আলোকসজ্জা এবং সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা, সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা এবং দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।