‘সংকটে সংগ্রামে সম্প্রীতির বন্ধনে, জেগে উঠুক বহ্নিশিখা’ এই আহ্বানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের আয়োজনে সিলেটের সুরমা নদীর পারে ঐতিহ্যবাহী চাঁদনী ঘাট সিঁড়িতে বর্ষ বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। ১৩ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৬.৪৫মিনিটে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এতে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সিলেট জেলা সংসদ, নগরনাট, ছন্দ নৃত্যালয় ও ত্রীতণু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান বলেন, বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য আমরা যেমন উপভোগ করি, তেমনি এটিকে ধরে রাখা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক চর্চাকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ নতুন বছরে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অসাম্প্রদায়িক ও আরোও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বিদায়ী বছরের সফল অর্জনকে ধরে রেখে নতুন বছরে সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট আরো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাস এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে, সকল আঁধার কেটে নতুন বছরে আলোকিত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রত্যাশায় প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ মঙ্গল আলো প্রজ্জ্বলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভবতোষ রায় বর্মণ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আনোয়ার সাদাত, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আজাদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর কেন্দ্রিয় সদস্য শামসুল আলম সেলিম, মানবাধিকার সংগঠক প্রদীপ কুমার দেব, হিমাংশু মিত্র, নাট্য সংগঠক, উত্তম সিংহ রতন, নিলাঞ্জন দাশ টুকু, খোয়াজ রহিম সবুজ, সুপ্রিয় দেব শান্ত, ফারজানা সুমি, দিবাকর সরকার শেখর প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি