কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের আকাশে শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে আজ থেকে। আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর পালিত হবে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এবার ২৯ দিনেই শেষ হলো শাবান মাস। রমজান মাস শেষেই আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৩ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রোববার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবি নামাজ পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। রোজা রাখতে শেষরাতে সেহরি খান মুসলমানরা। সিলেটে প্রথম দিন সেহরির শেষ ছিল রাত ৪টা ২১ মিনিট। ইফতার ৬টা ১৩ মিনিটে রবিবার প্রথম রোজার ইফতার।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্বামী-স্ত্রীর সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।
এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।
অপরদিকে, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে শনিবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত দু’বছর রমজানে বিধিনিষেধ ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উন্নীত হওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে উঠে যায় বিধিনিষেধ, স্বাভাবিক হয়ে যায় সবকিছু। দু’বছর পর এবারই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এলো রমজান মাস।