ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান ॥ রমজানে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়

5
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট আয়োজিত দ্রব্যমূল্য এবং ভোক্তা অধিকার বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, রমজানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও যেখানে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে দেয়, সেখানে আমরা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম আরো বেশি বাড়িয়ে দেই। সে কারণেই আমরা একটি দুর্ভাগা জাতি হিসেবে পরিগণিত হই। রমজানে এ রকম হলে ভোক্তা অধিদপ্তর আরো কঠোরভাবে অভিযানে নামবে বলে তিনি ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারী করে দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউজে দ্রব্যমূল্য এবং ভোক্তা- অধিকার বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ পরিচালক মো. ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আরো বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম সারা দেশেই কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। এর কারণ হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যগুলো আমদানী করতে হয়। কিন্তু সারা বিশ্বেই করোনার পর থেকে দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া সারা বিশ্বে ৩০ ভাগ উৎপাদন কমে গেছে। ফলে ইউরোপ আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে দ্রব্যমূলের দাম বেড়েছে। এমনকি দ্রব্যমূল্যের দাম আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তবুও দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে কম দামে পণ্য পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ১ কোটি মানুষকে টিসিবির আওতায় নিয়ে এসেছেন। মানুষকে সাশ্রয়ী করতেই এমন উদ্যোগ। তবে স্বজনপ্রীতির কারনে ধনীরা যাতে টিসিবির কার্ড না পায় সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা অভিযানে গেলেই খুচরা বিক্রেতারা বলছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিলাররা দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে ডিলাররা উৎপাদনকারী প্রতিষ্টানের উপর দোষ চাপাচ্ছে। এভাবেই দায়ভার কেউ নিতে চায়না। কিন্তু ভোক্তা অধিদপ্তর কাউকে ছাড় দেবেনা। ব্যবসা একটি পবিত্র কাজ। কিন্তু কতিপয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে এবং মজুত করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। সিলেটের ব্যবসায়ীরা সৎ উপায়ে ভোক্তাদের পণ্য সরবরাহ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিয়ম সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ, উইমেন চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণালতা রায়, ক্যাব সিলেটের সভাপতি জামিল চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ছামির মাহমুদসহ বিভিন্ন সরকারী দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি