সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ॥ সুযোগ ও হুজুগ গ্রহণকারীদের থেকে সতর্ক থাকবেন

14
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরল ইসলাম নাহিদ।

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তারা কোন্দল গ্রুপিং লবিং ও ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করার জোর তাগিদ দিয়েছেন। তারা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি সুযোগ গ্রহণকারী সুবিধাবাদী এবং হুজুগ ও গুজব সৃষ্টিকারীরাও তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এই চক্রটি পবিত্র রমজান আসার আগেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে বিএনপির নীলনকশা বাস্তবায়নে মেতে উঠেছে। আমরা বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আপনারা সুযোগ ও হুজুগ গ্রহণকারীদের থেকে সতর্ক থাকবেন। তারা আরো বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকরাই হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণভ্রমরা। তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করেই আওয়ামী লীগ পরিচালনা করতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে নয় সকলকে নিয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে যারা দল পরিচালনা করবে তারাই হচ্ছে দলের আসল নেতা। জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্দিনের কান্ডারীদের নিয়ে আগামীতে সরকার গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৩ মার্চ রবিবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা বিরতিহীনভাবে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মুশফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, সিলেট সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের এমপি এডভোকেট শামীমা আক্তার খানম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতসহ স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভা, থানা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগামী মে মাসের মধ্যে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের ১২ উপজেলা ও ৪ পৌরসভা শাখার সম্মেলন সম্পন্ন করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে দেন। উল্লেখ্য জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। বিভিন্ন গ্রাম ও উপজেলা সদর থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা পূর্বদিন রাত থেকে জেলা শহরে আসতে থাকেন। সভাস্থল জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণ ও তার বাহিরে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভীড় জমে উঠে। কোথায়ও তীল ধারণের ঠাঁই পর্যন্ত ছিল না। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন ও জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম আহমদ সারা শহরজুড়ে ডিজিটাল ব্যানার ও বরণ তোরণ দ্বারা কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের শুভাগমনকে স্বাগত জানান। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট ও গৌরারং ইউপি আওয়ামী লীগের নেতা হোসেন আলীর নেতৃত্বে একটি মোটর সাইকেলের বহর কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল বের করে। প্রতিনিধি সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর পর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিতিতে সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে এই প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের নতুন শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার দুর্দিনের কান্ডারী তৃণমূলের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে হল কানায় কানায় ভরে উঠে। স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. আপ্তাব উদ্দিন, রেজাউল করিম শামীম, এড. অবনী মোহন দাস, নোমান বখত পলিন, সৈয়দ আবুল কাশেম, সুনামগঞ্জ জজকোর্টের পিপি খায়রুল কবির রুমেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. নান্টু রায়, হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান, জুনেদ আহমদ, শঙ্কর চন্দ্র দাস, কৃষি বিষযক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলী বীর প্রতীক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রদীপ রায়, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খাঁ, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, জেলা আওয়ামী লীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমীন চৌধুরী, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেন, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ মানিক, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল হেকিম, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম, মন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব মো. হাসনাত হোসাইন, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন, সুলকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী তপন, জেলা পরিষদের সদস্য জহিরুল হক, মাহাতাবুল হাসান সমুজ, সদরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, ডাঃ আবুল কালাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যা কবি ফেরদৌসী সিদ্দিকা, জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, সদস্য সবুজ কান্তি দাস, শান্তিগঞ্জের আব্দুল গনি ভান্ডারী, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম ও শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান শাহিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সকল নেতাকর্মীদের রিপোর্ট আছে, সেই রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তারা বলেন, একটি চক্র বাংলাদেশে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। এই চক্র থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। ভুলে গেলে চলবে না সামনে নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসতে পারে তাহলে সেই অতীতের মত বাংলাদেশে দুর্যোগ নেমে আসবে। অধিক মুনাফালোভী সিন্ডিকেট চক্র জিনিসপত্রের কৃত্রিম সংকট বাড়িয়ে বাজারকে অস্থির করে তুলেছে, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে যারা গরীব মানুষের পেঠে লাথি মারতে চায় ঐ সমস্ত সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আরো বলেন, করোনার দুই বছর পর বিশ্ব বাজার এখনও ঠিক করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। ঠিক তখনই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তারা আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়মের মহাসড়কে ভাসছে। যারা ঢাকায় বসে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চান তারা সাবধান হয়ে যান। যে সমস্ত ত্যাগী নেতারা আওয়ামী লীগের দুর্দিনে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাস্তায় মার খেয়েছেন আগামী জুন মাসে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাদেরকে নেত্রী মূল্যায়ন করবেন। তারা বলেন দলে কোন প্রকার বিভাজন চলবে না। সামনে আরো কঠিন সময় আসছে আগামী দুইবছর পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসছে তাই সকল নেতাকর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দলের স্বার্থে ও দেশের মানুষের স্বার্থে এই জেলার ৫টি আসনে যারাই নৌকা পাবেন তাদের বিজয়ী করতে এখন থেকে এই সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো জনগণের মাঝে তুলে ধরার আহবান জানান। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সুযোগসন্ধানীরা নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগ গ্রহণকারী আর হুজুগ সৃষ্টিকারী সবাই একই দোষে দোষী। এদের সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা মাতৃত্ব ভাতা, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা দিচ্ছেন। ত্রিশ লাখ মানুষকে পাকাঘর বানিয়ে দিয়ে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারের এইসব অর্জনকে ম্লান করতে নিত্যপণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হয়েছে। একই সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, দুই দুইটা বছর বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব করোনায় বিপর্যন্ত ছিল। রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকমত করতে পারে নাই। যে কারণে এখনও বিশ্ববাজার স্থিতিশীল অবস্থায় নেই। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ চলতে যুদ্ধের প্রভাবেও বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল। এর ঢেউ লেগেছে আমাদের দেশে। তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে একটা নেতিবাচক স্বভাব রয়েছে। কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে আমাদের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ কষ্টের শিকার হন। এ ব্যাপারে আমাদের, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নজরদারি করতে হবে। কেউ মজুদদারি করলে, অযৌক্তিক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে প্রশাসনকে জানাবেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবে। সরকারকে বিপদে ফেলবে, এমন কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাজার মনিটরিং শুরু হয়েছে। যারা মজুদ করে তেলের দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামীতে ৫০ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে। হানিফ আরও বলেন, আমাদের সামনে মাত্র দুইটি বছর রয়েছে। এই দুই বছরের মধ্যে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। দলের অনেক নেতার মধ্যে আস্তা ও বিশ^াসের ঘাটতি রয়েছে। সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্য পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করতে হবে। দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে তবে এই প্রতিযোগিতা যেনো দলকে বিব্রতের মধ্যে না ফেলে। জামায়াত শিবির এদেশের স্বাধীনতায় বিশ^াস করে না। জামায়াত বিএনপির সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকতে পারে না। দলীয় নেতাকর্মীদের বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিককল্পনা মন্ত্রী এম মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব, মজুর সাধারণ মানুষের চিন্তা করেন। তিনি হাওর, পাহার, চর, উপকূল এলাকার মানুষের উন্নয়নে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের যোগ দেয়ার পর তার আনুগত্য মেনে কাজ করছি। তিনি বলেন, আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছি। দেশ যখন উন্নত বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশ বিরোধী চক্র আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। ঢাকায় বসে নয়, জেলায় থেকে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করতে হবে। সকলের আমলনামা নেত্রীর কাছে যায়। আগামীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে হলে দলের নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিতে হবে। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন আগামী ৮ মে মধ্যনগর উপজেলায়, ৯ মে ধর্মপাশায়, ১০ মে সুনামগঞ্জ সদর, ১১ মে জগন্নাথপুর, ১২ মে শান্তিগঞ্জ, ২৫ মে তাহিরপুর, ২৬ মে ছাতক, ২৭ মে দোয়ারাবাজার, ২৮ মে দিরাই, ২৯ মে শাল্লা ও ৩০ মে জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন।