স্টাফ রিপোর্টার :
বিজ্ঞানলেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় কারান্তরীণ ২ আসামির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে আসামি আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ও সফিউর রহমান ফারাবীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন, এডভোকেট আব্দুল আহাদ ও এডভোকেট ইমরান আহমদ।
এরপর ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমিন বিপ্লব পলাতক আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৪ মার্চ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট মুমিনুল রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার থেকে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছিলেন আসামিপক্ষের ২ আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল আহাদ ও এডভোকেট ইমরান আহমদ।
এর আগে বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ও সাবেক পিপি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ যুক্তি উপস্থাপন করেন। এ সময় এডভোকেট সমর বিজয় শেখর ও এডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন তাদের সহায়তা করেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছিলেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এডভোকেট মুমিনুল রহমান। এডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, যুক্তিতর্ক শেষ হলে বিচারক মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম। নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। এদের মধ্যে আসামি আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ও সফিউর রহমান ফারাবী কারাগারে রয়েছে। পলাতক আসামিরা হলেন, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমদ। অপর আসামি মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী গ্রেফতার হলেও কারান্তরীণ অবস্থায় মারা যান। ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের পর ২০২০ সালে বিচারার্থে মামলা সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।