বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর পাথারিয়া কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অপরাধে ২ বখাটেকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সে ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে এখন ভাইরাল। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ৭ মার্চ দুপুরে।
আটকৃতরা হচ্ছে, জুড়ী উপজেলার উত্তর জাহাঙ্গীরাই গ্রামের এখলাছুর রহমানের পুত্র রায়হান মিয়া ও ভোগতেরা গ্রামের মাসুক মিয়ার পুত্র মারুফ হোসেন। তবে ঘটনার সময় আরেক বখাটে বড়লেখা উপজেলার পশ্চিম দক্ষিণভাগ গ্রামের আব্দুস সামাদ পালিয়ে যায়। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে কলেজ ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রায়হান মিয়া, মারুফ হোসেন ও আব্দুস সামাদ মিলে সুজানগর পাথারিয়া কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করছিল। এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দুজনকে আটক করতে পারলেও আব্দুস সামাদ পালিয়ে যায়। পরে তাদের দুজনকে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাদের উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয়। পরে বেলা ২টার দিকে সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলামের উপস্থিতি ভবিষ্যতে ছাত্রীদের আর উত্যক্ত করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে দুই বখাটেকে উত্তম-মধ্যম দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে অনেকে দুই বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।
সুজানগর পাথারিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. শরীফুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ৩ বখাটে মিলে বেশ কয়েকদিন ধরে আমার কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছিলো। শিক্ষার্থীরা কয়েকদিন থেকে তাদের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ করছেন। সোমবারও তারা ছাত্রীদের উত্যক্ত করছিলো। এসময় তাদের দুজনকে হাতেনাতে আটক করে শিক্ষার্থীরা। আব্দুস সামাদ নামে একজন পালিয়ে যায়। বাকি দুজনকে সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করবে না মর্মে মুচলেকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।