কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ। সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় পালিত হবে পবিত্র শবে মেরাজ। ইসলাম ধর্মে এই রাতকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া কবুলের পবিত্র রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাবেন।
শবে মেরাজ পালন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সোমবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর দেড়টায় পবিত্র শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভার পর দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে আজ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। দেশের সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ নিবন্ধ। রেডিও-টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। এ ছাড়া সারাদেশের মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।
পবিত্র এই রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মেরাজ গমন করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হিজরি সালের ২৬ রজব দিবাগত রাত শবে মেরাজ উদযাপন করেন। ফার্সী ভাষায় শব-এর অর্থ হচ্ছে রাত আর আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি বা উর্ধারোহণ। অর্থাৎ রাতে উর্ধ জগতে আরোহণ। পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে অনেকে নফল রোজাও রাখেন। এ ছাড়া অনেকে দান-সদকাও করেন।
ইতিহাসের নিরিখে নবুওয়াতের দশম বছর ৬২০ খ্রীস্টাব্দের ২৬ রজব দিবাগত রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে মেরাজ গমন করেন। পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মেরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র এই রাতে হযরত জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে নবীজী প্রথমে বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে হযরত আদমসহ (আ.) নবীদের (আ.) নিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি এই রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে আল্লাহর প্রিয় হাবিব মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছেন। আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।