ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে মস্তকবিহীন দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ফেঞ্চুগঞ্জে রেললাইনের পাশ থেকে দোকান কর্মচারী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে মোমিনছড়া বাগান সংলগ্ন রেললাইন থেকে নয়ন দেবনাথ (১৮) নামের ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। সে কুমিল্লা জেলার দৌলতপুর গ্রামের দিলীপ চন্দ্র দেবনাথের ছেলে। এ ঘটনা নিহত নয়নের বাবা বাদী হয়ে সিলেট রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, নিহত নয়ন ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের উপমা ফ্যাশন নামে একটি কাপড়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করত। সেই দোকানের মালিক দুর্জয় দেবনাথ ভৌমিক বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়নের মাকে মোবাইলে কল দিয়ে জানান, নয়ন ইদানিং অস্বাভাবিক চলাফেরা করছে। এরপর ওইদিন রাতে নয়ন একপর্যায়ে তার মাকে মোবাইলে কল করে বলে, ‘আমাকে মেরে ফেলবে’। তখন নয়নের মা দোকানের মালিক দুর্জয়ের চাচা চন্দন দেবনাথ ভৌমিককে কল করে বলেন, ‘আজ রাত পর্যন্ত আমার ছেলেকে দেখেশুনে রাখেন’। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে নয়নের মোবাইল ফোন বন্ধ পান তার মা ও বাবা। দীর্ঘ সময় ফোন বন্ধ দেখে চিন্তিত হয়ে যান নয়নের মা ও বাবা। গত শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়নের ফোনে কল দেন তার মা। নয়নের ফোনে কল রিসিভ করে রেলওয়ে পুলিশের একজন সদস্য জানান, নয়নের মরদেহ সিলেট রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধারালে অস্ত্র দিয়ে নয়নের গলা কাটা। মাথা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডান হাত ছিল অর্ধমুষ্টি বন্ধ অবস্থায়। বাম হাতের বগল থেকে পেট পর্যন্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা। বাম হাত খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুকে থেতলানো জখম। পিছনে কোমড়ের উপরের অংশ কেটে নাড়িভূড়ি বেরিয়ে এসেছে।
নয়নের বাবা দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ জানান, আমার ছেলে নয়নের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সিলেট রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে রেলওয়ে পুলিশ অভিযোগে আসামিদের নাম লিখেননি। শুধু অভিযোগ ও ঘটনার বর্ণনা লিখেছেন। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।