বিমান ডিজিটালাইজড হচ্ছে আগামী মাস থেকে – প্রধানমন্ত্রী

7
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বলাকা ভবন প্রান্তে যুক্ত হয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী মাস থেকে বিমান ডিজিটালাইজড হওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই জায়গাটায় আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো, অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগটা আরও বাড়ানো দরকার। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের প্রায় এক কোটির মতো প্রবাসী আছে। তারা বিভিন্ন সময় ছুটিতে আসেন। তারা এসে যেন বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার না হন। তাদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী মাসে সব সেবা ডিজিটালাইজ করে ফেললে বিষয়টি আরও সহজ হবে।
বুধবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বলাকা ভবনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বিমানের প্রতীক ‘বলাকা’র ডিজাইন করেন শিল্পী কামরুল হাসান। এরপর ঢাকা-যশোর, ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ লন্ডন থেকে ১৭৯ যাত্রী ঢাকায় ফিরিয়ে আনা ছিল বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। তার সাড়ে তিন বছরের সরকারের সময় ব্যাঙ্কক, কলকাতা, কাঠমান্ডু ও দুবাই আন্তর্জাতিক রুট চালু হয়। তিনি বিমানের জন্য আন্তর্জাতিকমানের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল এভিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা এখন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বাড়াতে কাজ করেছে।
২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করে দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকেটিং, রিজারভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেক-ইন সবকিছু অনলাইনে হবে। এটা আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর সবদেশে এই ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম। আমি যতবার দেশের বাইরে গিয়েছি, সবসময় আমার একটা লক্ষ্য ছিল যে, আমাদের নিজেদের বিমান ব্যবহার করব। কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা আছে তখন বিমানের কী বিধ্বস্ত অবস্থা ছিল। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উন্নয়নে ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে দুটি বিমান বহরে যুক্ত করি। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক ফ্লাইটের তিনটি এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করি। যদিও তখন আর্থিকভাবে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, তার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উন্নয়নে আরও কিছু উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হোক। আমাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো আরও চালু হোক, সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। মাত্র পাঁচ বছর হাতে সময় সেভাবে কাজ করে যেতে পারিনি। তবুও আমরা কাজ করেছি। এরপর দ্বিতীয়বার আমি যখন সরকারে আসি ২০০৮-এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে, ২০০৯-এ আমরা লক্ষ্য করি বাংলাদেশ বিমান নিউইয়র্ক, ব্রাসেলস, প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মুম্বাই, নারিতা এবং ইয়াঙ্গুন রুটে যে ফ্লাইট চলাচল করত সেগুলো সব লোকসান দেয় এবং একে একে সব বন্ধই করে দিতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে দায়িত্ব নেয়ার পর এই যে জরাজীর্ণ একটা বিমান, এমনকি একটা গানও শোনা যেত না, যদি আমি জানালার সিটে বসতাম তখন তো ঝরঝর করে পানি পড়ত। কোনমতে কাপড় দিয়ে সে পানি বন্ধ করা হতো। এমনই আমাদের বিমানের দুর্দশা ছিল। বরং আমি আমাদের পাইলটদের সব সময় ধন্যবাদ জানাতাম যে, এ ধরনের অবস্থায় সাহস করে তারা যে বিমান চালাচ্ছে এটাই একটা বড় জিনিস ছিল। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিই। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে ৪টি বৃহৎ পরিসরের বোয়িং-৭৭৭-৩০০-ইআর, চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত ৪টি ৭৮৭-৮ ও ২টি ৭৮৭-৯ সহ মোট ৬টি ড্রিমলাইনার, ৬টি ৭৩৭-৮০০ এবং ৫টি ড্যাশ-৮-৪০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। এই ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৮টি উড়োজাহাজই বিমানের নিজস্ব মালিকানাধীন। অনেকগুলো আমাদের সময়েই সংগ্রহ বা ক্রয় করা। সরকারপ্রধান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং দক্ষ জনবল দিয়ে অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার রিপ্লেসমেন্ট এবং বোয়িং ৭৮৭ এর সি-চেক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। বাংলাদেশে গমনাগমনকারী সব এয়ারলাইন্সকে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দিয়ে থাকে। বিমানের একটি দক্ষ এবং অত্যন্ত কার্যকর গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং ইউনিট গড়ে তোলা হচ্ছে। চতুর্থ প্রজন্মের বিমান সংযুক্ত হওয়ায় যাত্রীদেরকে আকাশে ওয়াইফাই সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লাইট বিনোদন সেবা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান বন্দরগুলো পার্শ্ববর্তী শহরের যাত্রীদের আরামদায়ক গমনাগমনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনোরম কোচ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। করোনার সময়েও কিন্তু এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি। কাজ অব্যাহত রয়েছে। উচ্চশক্তি সম্পন্ন রাডার আমরা স্থাপন করব, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। যেটা আমাদের বিমান চলাচলে, শুধু আমাদের বিমান না, আমাদের আকাশসীমা দিয়ে অন্য যত দেশের বিমান যাবে সবার জন্যই সেটা আমরা করে দিচ্ছি। এ ছাড়া কক্সবাজার বিমান বন্দরকেও আমরা সম্প্রসারণ করে আন্তর্জাতিকমানের বিমান বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। কারণ আমাদের এই বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে পড়ে। যেজন্য এই জায়গায় আমাদের অনেক অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর দরকার।
তিনি বলেন, মালদ্বীপে ইতোমধ্যে বেসরকারী খাত থেকে বিমান যাওয়া শুরু করেছে। আমি মনে করি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সব জায়গায় লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখার দরকার নেই। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা এবং কার্গো পরিবহন একান্তভাবে দরকার।
২০০১ সালে বিএনপি-জায়ামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানকে পরিণত করে দুর্নীতি আর লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে। তারা নিউইয়র্ক, ব্রাসেলস, প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মুম্বাই, নারিতা এবং ইয়াঙ্গুন রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। চরম লোকসান আর অব্যবস্থাপনায় বিমান মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০৯ সালে আমরা সরকারের দায়িত্ব নিয়ে দেখি বিমানের সার্বিক অবস্থা খুবই নাজুক। জরাজীর্ণ বিমান বহর, বিপর্যস্ত শিডিউলসহ নানান অন্তহীন অভিযোগ। সরকারপ্রধান বলেন, দেশের ভাবমূর্তির কথা ভেবে বিমানের যাত্রীসেবার মান বাড়াতে হবে। প্রবাসীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। কারণ তারা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে এবং তাদের কল্যাণে রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার। করোনার সময় বিমান ভালো সেবা দিয়েছে। তবে প্রবাসীদের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে। দেশ উন্নত হচ্ছে, মানুষ সাবলম্বী হচ্ছে। আমাদের যাত্রীসেবা যত উন্নত করতে পারব, ততই দেশের লাভ হবে। দেশের মানুষের লাভ হবে এবং দেশটা আরও উন্নত হবে।
ঢাকা ও সিলেট থেকে বিমানের কার্গো পরিবহন শুরুর কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক রুটে বিমানের কার্গো পরিবহনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন- আমি চাই, আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের বিমানের নিজস্ব কার্গো প্লেন থাকবে। যেটায় পণ্য পরিবহন করলে এটা বিমানই লাভবান হবে। কাজেই অন্ততপক্ষে দুটো কার্গো বিমান ক্রয় করা একান্তভাবে জরুরী বলে আমি মনে করি। যথাযথভাবে উদ্যোগ নিলে কার্গো বিমান কেনা সম্ভব। আর কার্গো সার্ভিস চালু থাকলেই কিন্তু বিমান আরও লাভজনক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা চাই আমাদের কার্গো হ্যান্ডলিং এবং বিমান হ্যান্ডলিং সবকিছু খুব আন্তর্জাতিকমানের হোক। যাত্রীরা যেন কষ্ট না পায়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে, সেটাই আমরা চাই।
নতুন কেনা উড়োজাহাজগুলো যেন সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, সেই অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন-আমাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট আমরা আরও উন্নতমানের করে দিচ্ছি এই কারণে যেন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো অর্থাৎ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ যেমন- ভুটান, নেপাল বা ভারত তারাও যেন আমাদের সৈয়দপুর এয়াপোর্ট এবং সিলেট এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে পারে। সেই সুযোগটা আমাদের সৃষ্টি করে দিতে হবে। তাতে যাত্রী পরিবহন বা এখান থেকে যেহেতু সরাসরি বিদেশে যাচ্ছে, সেই সুবিধাটা পাওয়া যাবে। কাজেই সে বিষয়ে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সৈয়দপুরের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে, সিলেটের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে, আমাদের চট্টগ্রামকেও উন্নত করতে হবে। বরিশাল এয়ারপোর্টটাও চালু করা হয়েছে। সেখানকার সেবাও উন্নত করতে হবে। এটা আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা তুল ধরে তিনি বলেন- শিল্পায়ন হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সুন্দর হয়, দ্রুত হয় বিনিয়োগকারীরা এখানে আসবে। বিনিয়োগ করবে। আবার আমাদের যারা জনগণ বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করেন, তাদেরও যোগাযোগটা ভালো হলে কর্মক্ষেত্রে কাজ আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রটাও আরও সুগম হবে। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলাকা ভবনে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমানসহ কজন বিমানের ভবিষ্যত সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে খাম উন্মোচন এবং শুভেচ্ছা স্মারক গ্রহণ করেন তিনি। স্মারক ডাকটিকেটের মূল্য ১০ টাকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, ডাক ও টেলি যোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আরও ছিলেন, বিমান সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুল হাসান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান।
এদিকে সুবর্ণজয়ন্তীতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিমান। বলাকার সম্মুখপ্রান্তে সবুজ লনে বিশাল প্যান্ডেল ও ওপেন স্টেজ তৈরি করে সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ করা হয়। এতে বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ারমার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ, এয়ারমার্শাল ইনামুল বারী, সাবেক এমডি এয়ার কমোডর জাকিউল ইসলাম, সাবেক এমডি ক্যাপ্টেন শেখ নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এমডি উইং কমান্ডার আসাদুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদ, ক্যাপ্টেন ফারাহাত জামিল, ক্যাপ্টেন মোজাম্মেল হক, পরিচালক ড. সাফিকুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক সাবেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় চলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।