মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাতে গ্রীডে সমস্যার কারণ দেখিয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দু’দফায় সাড়ে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ উধাও হওয়ায় কমলগঞ্জে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও খুদে কারখানা মালিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনস্থ প্রায় লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ও ২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত গোটা উপজেলা বিদ্যুৎ বিহীন ছিল।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে কুলাউড়া গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ত্রুটি দেখা দেয়ার পরও সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। তবে কুলাউড়া গ্রিডে ও বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি মেরামতের জন্য তড়িঘড়ি করে কাজ করতে হয়েছে। এজন্য পূর্ব কোন নোটিশ প্রদান সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়াই মৌলভীবাবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনালে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দু’দফায় সাড়ে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এতে রাইসমিল, স’মিল, মশলা মিল, চা বাগানের কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসও বন্ধ হওয়ার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
অভিযোগ করে বিদ্যুৎ গ্রাহক চিকিৎসক আব্দুল মোত্তাকীন, শিল্পী বেগম, খুদে কারখানা মালিক মশিউর রহমান, মালিক মিয়া বলেন, প্রচন্ড শীতের সময় হঠ্যাৎ করে সকালে বিদ্যুৎ চলে গেল। আমাদের ধারণা ছিল কিছু সময় পরই আবার বিদ্যুৎ চলে আসবে। তবে খবর নিয়ে জানতে পারি গ্রিডে ও লাইনে কাজ চলছে। দুপুরের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। তারা আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বাসাবাড়িতে মোটরে পানি উঠানো, কলকারখানায় কাজকর্মের জন্য আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। আগে বিষয়টি জানানো হলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
অভিযোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গোলাম ফারুক মীর অনাকাক্সিক্ষত ত্রুটির জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেন, রাতে সমস্যা দেখা দেয়ায় সকালে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মাইকিং কিংবা নোটিশ প্রদান সম্ভব হয়নি। মেরামত করা না গেলে যেকোন মুহূর্তে সমস্যা হয়ে যেতো।