কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে ভোজ্যতেলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ভোজ্যতেল ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়। তাই সেখানে দাম বাড়লে দেশে ভোজ্যতেলের দাম আরও বাড়তে পারে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাট শেখ শফি উদ্দিন কমার্স কলেজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
দেশের বাজারে ফের ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। বোতলের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। পাম অয়েলের দামও কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা বোতলের এক লিটার তেলের গায়ের (লেভেলে লেখা) মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৭৬০ টাকা।
অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি এখন খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। পাম অয়েলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, তা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। এরই মধ্যে নতুন করে আবার তেলের দাম বাড়ার আভাস দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এদিকে আসন্ন রমজান ঘিরে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘রমজানে পণ্যের দাম প্রায় সময়ই বাড়ে। এবারের আসন্ন রমজান ঘিরে বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে কাজ চলছে। খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়ানো হবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির পরিমাণও ডাবল করা হবে রমজানে।’
এসময় তিনি বলেন, লালমনিরহাটের ব্র্যান্ডিং ফসল ভুট্টার চাষাবাদ ব্যাপক। তাই এ জেলায় ভুট্টাজাত শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজও চলমান।
সরকারের লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দর চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে মোগলহাট স্থলবন্দর চালু হলে উভয় দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বন্ধ থাকা এ স্থলবন্দর চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘তিস্তা নদী ঘিরে সরকার মহাপরিকল্প গ্রহণ করেছে। সরকার সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকল্পনা নিয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে তিস্তাপাড় তথা রংপুর বিভাগের যথেষ্ট উন্নতি ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে বেশ আন্তরিক। আমরা তারই নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি।’
রোটারি ক্লাবের আয়োজনে ছিন্নমূল শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লালমনিরহাট আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপন প্রমুখ।