কানাইঘাটে যুবককে মারধর, সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ

5

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নের কায়েস্তগ্রাম খেয়াঘাটে এক মৎস্যজীবী মাছ বিক্রেতাকে মারধর ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো মারধরের শিকার আশিক উদ্দিনের ঘটনাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সালিশ বিচারে হামলাকারীরা উপস্থিত না হওয়ায় এলাকায় জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মারধরের শিকার আশিক উদ্দিনের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার একজন মৎস্যজীবী মাছ বিক্রেতা কানাইঘাটের কায়েস্তগ্রাম খেয়াঘাটে মাছ বিক্রির জন্য আসলে মাছের ধর দাম নিয়ে স্থানীয় কায়েস্তগ্রামের আব্দুর রবের পুত্র শহিদুর রহমান, মাছ বিক্রেতাকে উপর্যপুরি চড়থাপ্পড় ও মারধর করতে থাকলে নিরীহ মাছ বিক্রেতাকে মারধর না করার জন্য এ সময় নিজ বাউরভাগ পশ্চিম গ্রামের কালা মিয়ার পুত্র আশিক উদ্দিন বাধা নিষেধ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুর রহমান তার চাচা জাকারিয়া, আব্দুল হালিম ও চাচাতো ভাই শাহিন আহমদকে আশিক উদ্দিনের উপর হামলা চালিয়ে শারীরিক ভাবে মারধর করে জখম করে আহত করে। আশিক উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঐ দিন শনিবার রাত ৭টার দিকে কায়েস্তগ্রাম খেয়াঘাট দিয়ে পাশর্^বর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার শাহগলি বাজারে যাবার পথে পুনরায় তার উপর শহিদুর রহমান, জাকারিয়া, হালিম, শাহিন গংরা হামলা করে মারধরের চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেন। এ সময় হামলাকারীরা ৩টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা ভাংচুর করে বলে আশিক উদ্দিন সহ তার পক্ষের লোকজন জানিয়েছেন। হামলার খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার এএসআই হুমায়ুন ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে কায়েস্তগ্রাম খেয়াঘাটে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তি করার জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে দায়িত্ব দেন। বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে সামাজিক সালিশ বিচারে বসে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ২ পক্ষকে বুধবার সকাল ১০টায় দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেন। নির্ধারিত সময় সালিশ বিচারে এলাকার মুরব্বীয়ান সহ ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার সিরাজ উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ বিশিষ্ট মুরব্বী সিরাজ দরবারী, বর্তমান নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, সাবেক ইউপি সদস্য বশির আহমদ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হলেও হামলার শিকার আশিক উদ্দিনের পক্ষের লোকজন সালিশ বিচারে উপস্থিত হলেও কায়েস্তগ্রামের শহিদুর রহমান পক্ষের কোন লোকজন সালিশে উপস্থিত হননি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুরব্বীয়ানরা ইউনিয়ন অফিসে অপেক্ষা করার পর চলে যান। সালিশে উপস্থিত অনেক মুরব্বীয়ান সহ স্থানীয় এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি থানা পুলিশের কথা মতো আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও মুরব্বীয়ানদের ডাকে শহিদুর রহমান পক্ষের লোকজন উপস্থিত না হওয়ার কারনে ঘটনাটি শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তি করা যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় পুনরায় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকে জানিয়েছেন।