কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারত-বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক সীমান্তে নারীপাচার রুখতে কড়া ভূমিকা নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার। মাত্র এক বছরে ৩৩ জন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নারীপাচার চক্রে যুক্ত, ৩৩ জন দালালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া প্রান্তিক ওই বাংলাদেশি নারীদের নানান কাজের টোপ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে দালাল মারফত, ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর তাদের বিভিন্ন যৌনপল্লিতে নিয়ে গেছে।
বিএসএফ জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, বিউটি পার্লার, জিম হেল্পার, হোটেল, রেস্তোরাঁর ওয়েটার, বাড়ির পরিচারিকা প্রভৃতি কাজের টোপ দিয়ে বাংলাদেশি নারীদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ভারতে কাজ করার জন্য অনেকেই সেই টোপ গিলে নেন। কিন্তু, তাদের নিয়ে আসার পর সেসব কাজ না দিয়ে, যৌনকর্মীর কাজে নিযুক্ত করাই উদ্দেশ্য ছিল দালালদের।
বিএসএফ জানিয়েছে, নারীপাচার রুখতে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি ‘অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট’ তৈরি করে বিএসএফ। মাত্র এক বছর আগে সমস্ত সীমান্তে ওই ইউনিট নারীপাচারের ওপর নজরদারি শুরু করেন। শনিবার (১৫ জানুয়ারি), এই ইউনিটের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।
এক বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে বিএসএফ জানিয়েছে, এই সময়ে বিভিন্ন সীমান্তে নারী পাচারের মোট ২৯টি ঘটনা ধরা পড়েছে। তাতে ৩৩ জন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার হয়েছে। এই ৩৩ জনের মধ্যে ২৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক, বাকি পাঁচজন নাবালিকা। এই ২৯টি ঘটনায় ৩৩ জন দালালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের সিনিয়র মুখপাত্র তথা ডিআইজি সুরজিৎ সিং গুলেরিয়া বলেন, দেখা গেছে, এই মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত দালালরা ভালো চাকরি ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশের দরিদ্র ও অসহায় নারীদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নিয়ে আসে। কিন্তু, এখানে নিয়ে এসে যৌনকর্মীর কাজে নামিয়ে দেয়। বিএসএফ সীমান্তে মানবপাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটর’ মূল উদ্দেশ্য হলো, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত সব সিন্ডিকেটের সদস্যকে গ্রেফতার করা।