আরমান হত্যা মামলায় সিলেট শহরের স্থানীয় বাসিন্দা ও জল্লারপাড় জামে মসজিদ কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন খান (শিপলু) ও আনোয়ার বক্স (ভুলু মিয়া)কে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করার কারণে জল্লারপার এলাকাবাসীর পক্ষে রবিবার সিলেটের জেলা প্রশাসক, এসএমপির পুলিশ কমিশনার এবং পিবিআইর পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় শাখাওয়াত হোসেন খান (শিপলু) শহরের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত, তিনি ১৪ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সদস্য; আইন মান্যকারী একজন বিবেকবান মানুষ হিসাবে সর্বমহলে সমাদৃত থেকে সুবিধাবঞ্ছিত মানুষের জন্য কাজ করে থাকেন।
স্মারকলিপিতে তাঁরা উল্লেখ করেন জল্লারপার ও তার পার্শ্ববর্তী জামতলা এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ তার স্ত্রী জোসনা বেগম ও তার ভাই বোরহান মিয়া মিলিত ভাবে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর বসানোসহ নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ায়, এলাকার মঙ্গলার্থে উক্ত আবুল কালাম আজাদ পরিবারকে প্রায় ২ বছর পূর্বে জল্লারপার এলাকা থেকে বিতারিত করা হয়, স্মারকলিপিতে বলা হয় কিছুদিন পূর্বে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের ছেলে আরমান হোসেন তার সঙ্গী অন্যান্য মাদকাসক্ত সহপাঠির সাথে দ্বন্দে নিহত হয় বলে লোক মুখে শুনেছেন বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেন প্রায় ২ বছর আগে আবুল কালাম আজাদ পরিবারের অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় কালাম তার সন্তানের নিহতের ঘটনায় এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি শাখাওয়াত হোসেন খান (শিপলু)কে ২ নং আসামী করে মামলা দায়ের করে যার নাম্বার কোতয়ালী জি-আর ১০০৬/২০২১, স্মারকলিপিতে তারা বলেন সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় নিরপরাধ যিনি এলাকার সুখ-দুঃখের সাথী তাকে জড়িত করায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিস্মিত প্রকাশ করে তারা এরূপ অন্যায়ের প্রতিকার প্রত্যাশা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি