নগরীতে ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের

4

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬ জানুয়ারি রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করা করেন।
মামলার আসামীরা হলেন- ওই ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও তার চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮) ও প্রবাসী আবু আহমদ (৩৫)। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত আবু আহমদ ও সোনিয়াকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। তবে আবদুল হাই এখনো অধরা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে আমরা চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, ওই বাসা থেকে কিছু মাদকও উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আলাদা মামলা করেছে।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার তরুণী সোনিয়া বেগম তার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮)-এর হাতে কৌশলে ওই ছাত্রীকে তুলে দেন। বুধবার ৫ জানুয়ারি সোনিয়া ওই ছাত্রীকে জানান, তার চাচা-চাচি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিলেটে এসেছেন। নগরীর একটি বাসায় তারা থাকছেন। তাঁদের বাসায় সোনিয়া বুধবার রাতে থাকবেন। বান্ধবীকেও (ভিকটিম) তার সঙ্গে থাকতে জোর খাটান। বান্ধবীর আবদারে তার সঙ্গে ওই বাসায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ওই ছাত্রী। কিন্তু সেখানে চাচা-চাচি নন, ছিলেন ওই বান্ধবীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চাচাতো ভাই। কিছুক্ষণ পর ওই প্রবাসী আবু আহমদ নামে তার এক খালাতো ভাইকে ওই বাসায় ডেকে আনেন। পরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক কক্ষে প্রবাসী ও তাঁর খালাতো ভাই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই ছাত্রী সেই কক্ষ থেকে দৌঁড়ে গিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি তাঁর এক ছেলে সহপাঠীকে জানান। এরপর ওই সহপাঠীর মাধ্যমে খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও প্রবাসীর খালাতো ভাই আবু আহমদ (৩৫)-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সোনিয়ার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮) পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।