শীতের সকাল :
শীতের সকালে উত্তরের ঘন হিম কুয়াশাচ্ছন্ন চাদর মুড়িয়ে ,
চির সবুজের ভূমি ভোরের লাল দিগন্ত পৃথিবীর বুকে থাকে ঘুমিয়ে।
ভোরের পুবালি দিগন্তে দূর নীলিমার আকাশে রবিটা রেগে,
শত বাধা বিপত্তি দূরে সরিয়ে সুপ্রভাতে মিষ্টি রোদ নিয়ে জাগে।
শীতার্ত মানব সকল অপেক্ষায় থাকে মিষ্টি রোদের পরশ পেতে,
মিষ্টি রোদের পরশ পেলে শীতার্ত সম মানব মনের আনন্দে মাতে।
শিশির বিন্দু জেঁকে বসে মাঠের সবুজ-শ্যামল ধানের ক্ষেতে,
শীতের বুড়ি সুপ্রভাতে চাদর মুড়িয়ে কাঁপতে থাকে কনকনে শীতে।
ভোরের শীতার্ত পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে যাই নিবিড় ঘন বনে,
বিভোর হয়ে আপন নীড়ের মায়া ত্যাগ করে আহারের সন্ধানে।
পল্লী গায়ের মেঠো পথ গুলো ঘন কুয়াশার চাদরে যায় ঢেকে,
শিশিরে ভেজা শিমুল গাছের ডালে কোকিল মধুর সুরে ডাকে।
সুপ্রভাতে খেজুর গাছে মিষ্টি মধুর রসের হাড়িটা যেনো ঝুলছে,
দখিনা সমীরণে হলুদ রঙের সরিষার পাপড়ি গুলো দুলছে।
লাঙল-জোয়াল কাঁধে করে কৃষকেরা চলেছে তেপান্তরের মাঠে,
পল্লীবালা মনের সুখে কলসি কাঁখে জল আনতে যাই পদ্ম দীঘির ঘাটে।
শিশির ভেজা সরিষার পুষ্প কলিতে ভোমরা ছুটে যাই মধুর গন্ধে,
উদাস কবি বিভোর হয়ে দীপ্ত প্রেমের কাব্য সুধায় নানান রকম ছন্দে।
কিশোর কিশোরী সুপ্রভাতে ঘুমের ছলে ঘুমিয়ে থাকে লেপের তলে,
মনটা তখন ঘন কুয়াশার মাঝে উড়তে চাই প্রজাপতির ডানা মেলে।