স্টাফ রিপোর্টার :
টানা কয়েক দিন থেকে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুশায়ার চাদরে মুড়ে গেছে মৌলভীবাজার জেলা। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। শ্রীমঙ্গল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। সিলেটে শীত ও কনকনে হিমেল ঠান্ডা হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমুল ও শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই খর কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, মৌলভীবাজার জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত প্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গিয়ে সোমবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতজনিত রোগে প্রতিদিন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভিড় প্রতিদিন বাড়ছে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন চৌধুরী মোর্শেদ বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে চাপ একটু কম আছে। আমাদের এখানে যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের শীতজনিত রোগে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ২ থেকে ৩ দিন চিকিৎসা নিয়েই অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩৪ হাজার কম্বল ও নগদ ৩ লাখ টাকা শীতার্ত মানুষের মধ্যে সাতটি উপজেলায় বিতরণ করা হচ্ছে। আরও কম্বল ও নগদ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূলসহ নিম্ন আয়ের মানুষের। তীব্র শীতের সঙ্গে বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে (জানুয়ারিতে) সর্বোচ্চ ৩টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এর মধ্যে একটি তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এ ছাড়া জানুয়ারিতে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম থাকতে পারে।