সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ

12

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে হাতেগোনা কয়েক ঘন্টা পরই। আজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সিলেটের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্বে আসতে মরিয়া ৪০ প্রার্থী। চেম্বারের এই নির্বাচন ঘিরে সিলেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ।
সিলেট চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা অবধি দ্বি-বার্ষিক (২০২২-২৩) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে নগরীর ধোপাদীঘিরপারস্থ ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে। নির্বাচনে লড়ছে সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ এবং সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ নামে দুটি প্যানেল। সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ গত মঙ্গলবার তাদের ইশতেহার ঘোষণা করে। পরদিন বুধবার ইশতেহার জানায় সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
নির্বাচনে ২২টি পরিচালক পদে চারটি ক্যাটাগরিতে লড়ছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে ২৮ জন, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণিতে ১২ জন, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে ৩ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে ১ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে ১২ জন, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে ৬ জন, ট্রেড গ্রুপ থেকে ৩ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণি থেকে ১ জন নির্বাচিত হবেন।
এসব পরিচালক প্রার্থীদের মধ্যে চারজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। তারা হলেন- ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে আবু তাহের মো. শোয়েব (চেম্বারের বর্তমান সভাপতি), মো. হিজকিল গুলজার ও মো. আতিক হোসেন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে আমিনুর রহমান। এ দুই ক্যাটাগরিতে চারটি পরিচালক পদে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের এই চারজনই কেবল প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন এখন তাই অর্ডিনারি এবং অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরির ৪০ প্রার্থীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাদের মধ্য থেকে ১৮ জন নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের প্যানেল থেকে অর্ডিনারি শ্রেণিতে প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুর রহমান জামিল, হুমায়ূন আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, খন্দকার ইসরার আহমদ রকি, মো. আব্দুস সামাদ, শান্ত দেব, মো. রুহুল আলম, জহিরুল কবির চৌধুরী, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, দেবাংশু দাস মিঠু ও মো. আবুল হোসেন। অর্ডিনারি শ্রেণির ব্যালটে তাদের অবস্থান ১৫ থেকে ২৬। এ পরিষদের অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির প্রার্থীরা হচ্ছেন জিয়াউল হক, মো. আবুল কালাম, মো. রাজ্জাক হোসেন, হাজী সরোয়ার হোসেন ছেদু, মো. রিমাদ হোসেন রুবেল ও মো. সাহাদত করিম চৌধুরী। ব্যালটে তাদের অবস্থান ৭ থেকে ১২।
সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের অর্ডিনারি শ্রেণির প্রার্থীরা হলেন এজাজ আহমদ চৌধুরী, মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী এনাম, মুশফিক জায়গীদার, ফখর উছ সালেহীন নাহিয়ান, আব্দুল হাদী পাবেল, আনোয়ার রশিদ, মো. নাফিস জুবায়ের চৌধুরী, মো. খোবের হোসেইন, ফায়েক আহমদ শিপু. দেবাশীষ চক্রবর্তী। ব্যালটে তাদের অবস্থান ১ থেকে ১২ পর্যন্ত। এ প্যানেলের অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির প্রার্থীরা হলেন তাহমিন আহমেদ, ওহিদুজ্জামান চৌধুরী রাজিব, মুজিবুর রহমান মিন্টু, মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী মুশফিক, মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ ও জয়দেব চক্রবর্তী জয়ন্ত। অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির ব্যালটে ১ থেকে ৬ পর্যন্ত তাদের অবস্থান।
নির্বাচনে অর্ডিনারি শ্রেণিতে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন- মো. মাছনুন আকিব বড় ভুইয়া, হিফজুর রহমান, মো. জসিম উদ্দিন এবং একমাত্র নারী প্রার্থী সামিয়া বেগম চৌধুরী।
নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে ভোটার ১৩৪৮ জন, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণিতে ভোটার ১২৪২ জন, ট্রেড গ্রুপে ৯ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে ১ জন ভোটার।
সিলেট চেম্বারের নির্বাচনে ৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন বোর্ড রয়েছে। এর চেয়ারম্যান হচ্ছেন সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার জলিল। বোর্ডের দুই সদস্য হলেন অ্যাডভোকেট মিছবাউর রহমান আলম ও মো. সিরাজুল ইসলাম শামীম। এ ছাড়া আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডভোকেট এম. শহীদুল ইসলাম এবং দুই সদস্য হলেন অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার কর ও মো. আতিকুর রহমান শাহীন।
সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে ৪৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। বাকি ৪০ জনের মধ্যে ভোট হবে।’