কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশ থেকে এলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যদি কেউ কোয়ারেন্টিন থেকে পালায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত বিদেশগামীদের করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষাগার পরিদর্শনে গিয়ে এই হুশিয়ারি দিয়েছেন।
গত বছর দেশে বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক ছিল। সে সময় কোয়ারেন্টিন থেকে পালানোর বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এতে দেশকে অনেক ভুগতে হয়েছে।তাদের মাধ্যমে অনেকে সংক্রমিত হয়েছিলেন তখন।
করোনার দেড় বছর পর এবার ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ফিরলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এ ছাড়া ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে- এমন দেশগুলো থেকে কেউ আসলেও তাকে ৪৮ ঘণ্টা আগে নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে, তাদের পাসপোর্ট রেখে দেওয়া হবে। কোনো হোটেল থেকে পালিয়ে গেলে ওই হোটেলকেও জরিমানা করা হবে।অনেক দায়িত্বহীন লোক যারা নিজের কথা, দেশের কথা ভাবে না, তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে গেছে। ঘোরাফেরা করেছে, বাড়িতে চলে গেছে। এই বিষয়টা আমরা জেনেছি। আমরা এ বছর একটা কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, যতদিন কোয়ারেন্টিন ততদিন আমরা তাদের পাসপোর্ট ধরে রাখব। সামরিক বিভাগ, পুলিশ এবং আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগও বিষয়টি তদারক করবে। আরেকটি জিনিস আমরা করব, যে হোটেল থেকে রোগী বেরিয়ে যাবে, সেই হোটেলকেও আমরা পেনাল্টিতে নিয়ে আসব।
বর্তমানে বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২-এ দুই হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর পরিবর্তে বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিংয়ের ভবনের দোতলায় ৩৬ হাজার বর্গফুট জায়গায় নমুনা পরীক্ষাগার করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এই গবেষণাগার তৈরি হয়ে গেলে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষায় ভোগান্তি কমবে। এ ছাড়া বিশ্রামাগার, টয়লেট, খাওয়া-দাওয়ার সুবিধা রাখা হচ্ছে।কাজ শেষ হয়ে গেলে ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যেই’ নতুন পরীক্ষাগারটি তা চালু হয়ে যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে আসা ২৪০ জনকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের খুঁজে বের করতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। এটা একমাস আগের কথা, তারপরও আমরা ছাড়ছি না, সবাইকে খুঁজে বের করব।’