কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা বিদেশ সফর করতে পারবেন না।
সফর বা ভ্রমণের পর দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সফরের বিস্তারিত উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন দিয়ে জানাতে হবে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার (০১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সার্চ অ্যান্ড ফগলাইট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী ওমর আলী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) এক চিঠির বৈধতা নিয়ে ২০১৬ সালে ওই রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। পরে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দেন।
আরিচা ও মাওয়ায় বিআইডব্লিউটিসি ফেরিতে সার্চ অ্যান্ড ফগলাইট লাগানোর জন্য ২০১৫ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ কাজ পায় জনি করপোরেশন। এর আগে প্রি শিপমেন্ট পরিদর্শনের জন্য চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বিদেশ সফরে যায়। ১০টি ফগলাইটের জন্য ৬ কোটির ওই কাজে ব্যাংক গ্যারান্টি ছিল ২৮ লাখ টাকা। তবে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় ব্যাংক গ্যারান্টি অর্থ নগদায়নের জন্য বিআইডব্লিউটিসি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চিঠি দিলে জনি করপোরেশন স্বত্বাধিকারী ওই রিট করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাহাদুর সাহা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইফুর রশীদ।
রায়ে আদালত বলেন, অতিরিক্ত সচিব এবং তার নিচের র্যাংকের কর্মকর্তাদের সকল অফিসিয়াল সফরে দেশের বাইরে যেতে শুধু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েরই নয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের আবশ্যিকভাবে অনুমতি নিতে হবে। ফিরে আসার পর সফরের বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে জমা দিতে হবে। এই তিন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে অফিসিয়াল সফরে অ্যালাও করা যাবে না।
করদাতাদের অর্থের অপচয় রোধে এটির প্রয়োজন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।