নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দলীয় শৃঙ্খল ভঙ্গ ও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী ও নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিমকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামলীগ সভাপতি এডঃ মোঃ আবু জাহির এমপি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক পত্রে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এবং স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। অপর এক পত্রে ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এবং কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলার ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম সাজু দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাজু নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর আপন ছোট ভাই। তাই সাইফুল জাহান চৌধুরী ছোট ভাই সাজুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিমকে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ৮নং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবেদুল আলম চৌধুরীর চাচা। ফলে তিনি সাজুর নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।