কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট বড়চতুল ইউনিয়নের কুড়ারপার গ্রামে এক গৃহবধূকে স্বামী কর্তৃক মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতন করে বসত ঘরে আটক রাখার পর কানাইঘাট থানা পুলিশ গত মঙ্গলবার উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা পারভীন বেগম (২১) এর ছোট ভাই কানাইঘাট পৌরসভার ডালাইচর গ্রামের বাবুল আহমদের পুত্র সেবুল আহমদ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে কুড়ারপার গ্রামের সিরাজ উদ্দিন @ ফরিদ এর পুত্র রুহুল আমিন অনুমানিক দেড় বছর পূর্বে পারভীন বেগমকে বিবাহের পর থেকে প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারপিট করত। একবার পিত্রালয় থেকে পারভীন বেগম যৌতুক বাবত ১ লাখ টাকা স্বামী রুহুল আমিনকে দেন। তারপরও রুহুল আমিন তার ভাইদের প্ররোচনায় সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে পুনরায় ১ লাখ টাকা যৌতুক বাবত পিত্রালয় থেকে নিয়ে আসার জন্য স্ত্রী পারভীন বেগমকে চাপ সৃষ্টি করলে এতে সে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী রুহুল আমিন ও তার ভাই মিলে পারভীন বেগমকে মধ্যযুগী কায়দায় বেধড়ক মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের পাশাপাশি ডান হাত নির্যাতন করে ভেঙ্গে দেয়। একপর্যায়ে পারভীন বেগমকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী রুহুল আমিন ও তার দুই ভাই বসত ঘরের একটি কক্ষে আটক করে রাখলে পারভীন তার নির্যাতনের বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে জানায়। বোনকে দেখার জন্য তার ছোট ভাই রায়হান আহমদ সেখানে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে পারভীন বেগমের পরিবারের লোকজন জানান। এ ঘটনায় আহত বোনকে উদ্ধার করার জন্য সেবুল আহমদ বাদী হয়ে তার বোনের জামাই রুহুল আমিন সহ তার দুই ভাইকে আসামী করে মঙ্গলবার বিকেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানার এসআই এসএম মাইনুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পারভীন বেগমকে উদ্ধার করেন। আহত পারভীন বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারগন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে।