দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ১৫ ইউপিতে জামানত হারিয়েছেন ২৮ প্রার্থী

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ৩ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৮ প্রার্থীর মধ্যে ২৮ জন জামানত হারিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশের এক শতাংশ ভোট না পাওয়ায় জামানত খোয়ালেন তারা।
এর মধ্যে সিলেট সদরের ৪টি ইউপিতে ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত রক্ষা হয়নি ১১ প্রার্থীর। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউপিতে ২৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩টি ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ১১ জন। বালাগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ২০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩টি ইউপিতে ১৪ জন জামানত হারিয়েছেন।
সিলেট সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়নে মোগলগাঁওয় ইউপিতে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তন্মধ্যে ২ জন জামানত হরিয়েছেন। তারা হলেন-স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকে আছন মিয়ার প্রাপ্ত ভোট ৫৮৩ এবং ইসলামী আন্দোলনের আব্দুশ শহীদ ৩৭৩ ভোট। জামানত বাঁচাতে প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল এক হাজার ৯৩৮ ভোট। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া হাজার ২৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
কান্দিরগাঁওয়ে ৩ প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের শাহেদ আহমদ হাতপাখা প্রতীকে ৩১৫ ভোট পেয়েও জামানত হারিয়েছেন। জামানত বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল ২ হাজার ৬৬৫ ভোট। এই ইউনিয়নে জামায়াত নেতা আবদুল মনাফ চশমা প্রতীকে ১০ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
জালালাবাদ ইউপিতে ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬ জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলাম উদ্দিন আনারস প্রতীকে এক হাজার ৬৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন চশমা প্রতীকে ১ হাজার ২৮ ভোট, আশরাফ সিদ্দিক অটোরিকশায় ৬৯২ ভোট, আশিক আলী ঘোড়া প্রতীকে ৩৪০ ভোট, মুজিবুর রহমান বতুল টেবিল ফ্যান প্রতীকে ২৪৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের হাফিজ মো. মোস্তাক হাতপাখা প্রতীকে ৯৫ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল্লাহ ইসহাক নৌকা প্রতীকে ২ হাজার ২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে জামানত বাঁচাতে প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ১৭৫ ভোট।
হাটখোলা ইউপিতে ৬ প্রার্থীর ২ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন-স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম মুনইমুল হক চশমা প্রতীকে ১ হাজার ২৯২ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের ফজলুল করিম চৌধুরী হাতপাখায় ২৪০ ভোট। জামানত বাঁচাতে ১ হাজার ৭৭৫ ভোট পাওয়ার কথা প্রার্থীদের। এখানে খেলাফত মজলিস নেতা রফিকুজ্জামান দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকে ৪হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউপিতে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ইসলামপূর পূর্ব ইউনিয়নে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- নৌকার প্রার্থী মো. ম্ল্লুুক হোসেন ২হাজার ৬১ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ইমতিয়াজ উদ্দিন হাতপাখা প্রতীকে ১৮১ ভোট, টেবিল ফ্যান প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুক আহমদ ৩৯ ভোট পেয়েছেন। এ ইউনিয়নে জামানত বাঁচাতে প্রয়োজন ২হাজার ১৯১ ভোট। এখানে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র আলমগীর হোসেন আলম আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
দক্ষিণ রণিখাইয় ইউপিতে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন-মোটরসাইকেল প্রতীকে মো. শাহাব উদ্দিন ১০৩৩ ভোট, ঘোড়া প্রতীকে স্বাতন্ত্র প্রার্থী সামছুল হক ২৪ ভোট, আনারস প্রতীকে এম এ হান্নান ২০ ভোট, চশমা প্রতীকে মুছলেহ উদ্দিন ১৭ ভোট পেয়েছেন। এ ইউনিয়নে জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল এক হাজার ২৪২ ভোট। এ ইউপিতে আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেন ইমাদ নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৭২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
ইছাকলস ইউপিতে ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন-আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন (আনারস) ১ হাজার ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী কুটি মিয়া (মোটরসাইকেল) ৯৯৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের ফিরোজ আলী (হাতপাখা) ৭৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুছাদ আব্দুল্লাহ (ঘোড়া) মাত্র ২১ ভোট পেয়েছেন। জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের প্রয়োজন ছিল এক হাজার ১২৪ ভোট। এখানে বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান অটোরিকশা প্রতীকে ৩ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলার ওপর দুটি ইউনিয়ন তেলিখাল ও উত্তর রণিখাইয়ে কেউ জামানত হারাননি।
বালাগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। এরমধ্যে পূর্ব গৌরীপুরে ৫ প্রার্থীর মধ্যে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মতিন ৬৪৬ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলনের আওলাদ মিয়া (হাতপাখা) ২০৫ ভোট পেয়েও জামানত হারিয়েছেন। যদিও জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৮১ ভোট। এ ইউপিতে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান মুজিব আনারস প্রতীকে ৪ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
পশ্চিম গৌরিপুরে ৪ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশাহিদ শিকদার (চশমা) ৩৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ছিল ৯৮৩ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহমান আনারস প্রতীকে ২ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
পূর্ব পৈলনপুরে ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন-খেলাফত মজলিসের মিছবাহ উদ্দিন মিছলু (দেওয়াল ঘড়ি) ৩৯৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মারুফ মিয়া (মোটর সাইকেল) ৭২ ভোট এবং নজরুল ইসলাম (আনারস) ৪০ ভোট। ইউনিয়নে জামানত রক্ষায় ৮৭০ ভোট প্রয়োজন ছিল। এ ইউপিতে আওয়ামী লীগের শিহাব উদ্দিন নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।