কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহামারী করোনার কারণে প্রায় দুই বছর পর প্রথম স্কুল-কলেজে কোন বড় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৪ নভেম্বর। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে আবারও বড় পরিসরে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা কার্যক্রম। তবে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে নতুন করে ১৬টি নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের বেশি অভিভাবক কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষা পরিচালনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর জারি করা গাইড লাইনের নির্দেশনা পালন করতে হবে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে আসলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে, বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র-সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবেন, কেন্দ্র-সচিব ছাড়া কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না, কেন্দ্র-সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দিতে হবে। ট্রেজারি বা থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি ছাড়া প্রশ্ন বের করা যাবে না বা বহন করা যাবে না।
এছাড়াও নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ট্রেজারি বা থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে কেন্দ্রে বহুমুখী নির্বাচনী প্রশ্নসহ রচনামূলক বা সৃজনশীলের সব সেটের প্রশ্নই নিতে হবে, সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা নিতে হবে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্র-সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে, পরীক্ষা চলাকালীন ও পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সম্পূণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে কেদ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, অনিবার্য কারণবশত কোন পরীক্ষা বিলম্বে শুরু করতে হলে যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের সেই সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় দিতে হবে, পরীক্ষাকেন্দ্রে ও প্রশ্ন পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত গুজব বা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নজরদারি জোরদার করবে।