কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন বছরে স্কুল ভর্তির আবেদন ফি কমানো হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফি ২২ টাকা করা হচ্ছে। তবে ১১০ টাকায় একসঙ্গে পাঁচটি বিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে।
মাউশি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের স্কুল ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বৈঠক হয়েছে বুধবার (৩ নভেম্বর)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আগামী বছরের স্কুল ভর্তি (প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত) লটারির মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম ক্রয় ও জমা দিতে হবে। ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। টেলিটকের মাধ্যমে লটারি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
জানা গেছে, করোনার কারণে আগামী বছরের ভর্তি ফরমের মূল্য কমানো হয়েছে। চলতি বছর প্রতিটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি ফরম ২০০ টাকা আর সরকারি স্কুলে ১৭০ টাকা ধার্য ছিল। এবার একসঙ্গে পাঁচটি স্কুলে আবেদনের জন্য ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি স্কুলে আবেদন ফি ২২ টাকা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর স্কুল ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও মাউশির উপ-পরিচালক (বিদ্যালয়) মো. আজিজ উদ্দিন বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকের আর্থিক সক্ষমতা কমেছে। সেটি বিবেচনা করে এ বছরের আবেদন ফি কমানো হচ্ছে। আগামী বছর সরকারি বা বেসরকারি স্কুলে আবেদনে ২২ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে একসঙ্গে পাঁচটি বিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে।
তিনি বলেন, লটারির মাধ্যমে সব ক্লাসে ভর্তি করা হবে। অনলাইন মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামী রোববার (৭ নভেম্বর) বৈঠকের রেজুলেশন মাউশিতে পাঠানো হবে। এরপর ভর্তি কমিটি সভা করে আবেদন ফরম বিক্রি, জমা দেওয়া লটারি আয়োজনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
বুধবারের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা না হলেও সরকারি চাকরিজীবী কেউ বদলি হলে তার নতুন কর্মস্থলের কাছাকাছি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। বর্তমানে সে সুবিধার সঙ্গে সরকারি চাকরিজীবী কেউ মারা গেলে বা অবসরে গেলে সেই শিক্ষার্থীর পরিবার অন্য স্থানে স্থানান্তর হলে সেখানে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। এ সুবিধা মাত্র একবারের জন্য দেওয়া হবে।
জানা গেছে, জেলা পর্যায়ের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য একাধিক জেলায় আবেদন করে। সেক্ষেত্রে ভর্তির আগে বা পরে পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজ ও নির্বাচিত জেলার স্কুলে আলোচনা করে ভর্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারবেন তারা।
গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ ইমামুল হক বলেন, নতুন বছরের স্কুল ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত আগামী রোববারের মধ্যে রেজুলেশন করে মাউশিতে পাঠানো হবে। মাউশি থেকে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিন-সময় নির্ধারণ করা হবে।