তালতলায় হোটেল সুফিয়ায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ২ লম্পট গ্রেফতার

8

স্টাফ রিপোর্টার :
বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে হবিগঞ্জের বাহুবলের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারদের মধ্যে একজনের প্রেমিকা ছিলো ওই কিশোরী। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ববকান্দি গ্রামের মৃত হুদ খাঁর পুত্র (প্রেমিক) জুয়েল খাঁ (২২) ও তার বন্ধু বরগাঁও গাজী মোকাম গ্রামের মৃত আহম্মদ মিয়ার পুত্র জুনেদ মিয়া (২৬)। গতকাল শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির।
এর আগে শুক্রবার রাতে নবীগঞ্জের বরগাঁও এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির জানান, জুয়েল খাঁ’র সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাহুবল উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জনৈক ওই কিশোরীর সাথে তার পরিচয় হয়। কয়েক দিন যেতেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে জুয়েল প্রেমিকাকে তার সাথে দেখা করতে সিলেট শহরে আসতে বলে। এতে রাজি হয় ওই কিশোরী। গত ৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় জুয়েল পানিউমদা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা পাঠায় প্রেমিকার বাড়ির পাশে। পরে সে অটোরিক্সা করে সে পানিউমদা যায়। সেখান থেকে বাসে করে সে সিলেট পৌঁছায়। দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে জুয়েল ও তার বন্ধু জুনেদ মিলে উত্তর সুরমার তালতলা পয়েন্টস্থ আবাসিক হোটেল সুফিয়ার দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে কিশোরীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন ৭ অক্টোবর সকালে ওই কিশোরীকে বাসে উঠিয়ে দুপুরে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে জুনেদ মিয়া সটকে পড়ে। পরে প্রেমিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে বিষয়টি স্বজনকে জানায় ওই কিশোরী। স্বজনরা বিষয়টি বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে জানান।
এ বিষয়ে থানার ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার আহত কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপরদিকে, গ্রেফতারকৃতদের গতকাল শনিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।